ঢাকাসোমবার , ২৬ জুলাই ২০২১
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কোটবাজার হইতে সোনারপাড়া, এটি সড়ক নয়, যেন একটা পুকুর

প্রতিবেদক
সিএনএ

জুলাই ২৬, ২০২১ ২:৫১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সাগর উপকূলীয় কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কোটবাজার-সোনারপাড়া সৈকত সড়ক বর্তমানে বেহাল অবস্থায় পরিণত হয়েছে। দেখলে মনে হবে এটি সড়ক নয়, যেন পুকুর।

সড়কটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১১ কিলিমিটার। বর্তমানে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে৷ বর্ষার সময় সড়কটি বেহাল অবস্থায় পরিণত হয়েছে। অসুস্থ রোগীদের জন্য রাস্তাটি এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। এ সড়কটি উখিয়া উপজেলার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সড়ক দিয়ে সোনারপাড়া বাজার, শামলাপুর বাজার, টেকনাফ, ইনানী বাজার, সোনার পাড়া, ইনানী সমুদ্র সৈকতে, হিমছড়ি, কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ, জালিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়, স্কুল, মাদ্রাসা, কিন্ডারগার্টেন স্কুলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।

সড়কের বেহাল অবস্থার জন্য প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা। সব মিলিয়ে এ সড়কটি এখন যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা গেছে, সড়কটি সংস্কারের জন্য ৩২ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে।

জালিয়া পালং ইউনিয়নের মাছ ব্যবসায়ি নুরুল আমিন জানান, কোটবাজারটি আমাদের মাছের মোকাম। এ সড়কের বেহাল অবস্থার জন্য যথাসময়ে আমরা ইলিশ মাছসহ অন্যান্য মাছও বাজারে নিয়ে যেতে পারছি না। সোনারপাড়া-কোটবাজার সৈকত সড়কটি ১১ কিমি. এখন অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তাছাড়া এলাকার কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে যথাসময়ে হাসপাতালে নেয়া যাচ্ছে না।

রুমখাঁ বাজার পাড়া এলাকার বাসিন্দা নুরুল আবছার রিয়াদ বলেন, এলজিইডির অবহেলায় কোটবাজার-সোনারপাড়া সড়ক কাজ বন্ধ রেখেছে প্রায় ৩ মাসেরও বেশি সময় হবে। বৃষ্টি না আসার আগে সড়কের কাজ বন্ধ করায় আজ মরণফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ধ্রুত সময়ে রাস্তার কাজ শেষ না হলে আরও বাড় ধরনে দূর্ঘটনার আশংকা দেখা যাচ্ছে।

জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চৌধুরী জানান, এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন প্রায় প্রায় পাঁচশত উপরে এনজিওর গাড়ি চলাচল করে। তাছাড়া স্থানীয় এবং পর্যটকের গাড়ি চলাচল করে প্রায় ২ হাজরের উপরে৷ টিকাকার কিছুদিন সংস্কারের কাজ করে বন্ধ রেখেছে। তবে জনস্বার্থে দ্রুত সড়কটি মেরামতের না করলে বড় ধরনের দূর্ঘটনা হওয়ার আশংকা রয়েছে।

এ ব্যাপারে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, এ সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সড়কটি প্রায় ৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কার করা চলছে। সবাই ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাওয়াতে সংস্কারের কাজ বন্ধ আছে। বাড়ি থেকে আসলে এক সপ্তাহের মধ্যে আবারও সংস্কারের কাজ শুরু হবে।
সূত্র : দৈনিক সমুদ্র কন্ঠ

সম্পর্কিত পোস্ট