কক্সবাজারের রামুতে পারিবারিক মনোমালিন্যের জেরে ঝগড়া করে স্ত্রী বাপের বাড়ি চলে যাওয়ায় অভিমানে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক যুবক।
বুধবার (১৪ জুলাই) সকালে আত্মহননের এ ঘটনা ঘটলেও দুপুরের পর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এমনটি জানিয়েছেন গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই ফরহাদ।
আত্মহননকারী আবুল বশর (২৮) রামুর কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের শিবাতলী গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে।
এসআই ফরহাদ জানান, বুধবার সকালে খবর আসে এক যুবক ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। দুপুরের দিকে গর্জনিয়া ফাঁড়ি পুলিশ ওই এলাকা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহটি উদ্ধার করেন। সুরতহাল শেষে মরদেহটি ফাঁড়িতে নেয়ার পর বিকেলের দিকে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
মৃতের বড় ভাই ছৈয়দ আলম জানান, পারিবারিক কলহের জেরে মঙ্গলবার ক্ষেতের মধ্যে স্বামী আবুল বশর স্ত্রী খুরশিদা বেগমকে মারধর করেন। এরপর স্ত্রীকে তার চাচা এসে নিয়ে যায়। এই ঘটনার জের ধরে বশর আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।
তিনি আরও বলেন, মৃত্যুর আগে তার ভাবির কাছে বলে গেছে, তিনি মারা গেলে তার মায়ের পাশে দাফন করাতে এবং তার স্ত্রীকে তার মরা মুখ না দেখাতে। এটি কথার কথা ভেবে তখন তেমন গুরুত্ব দেয়া হয়নি বলে জানান তিনি।
গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ফরহাদ আলী বলেন, কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।