কেরানীগঞ্জের রসুলপুরের বাসিন্দা তাজেরন আক্তার। অভাবের সংসার, তাই ভিনদেশ থেকে প্রতিমাসে ছেলের পাঠানো টাকায় বেশ হিসেব করেই চলতে হয় একটি মাস। এজন্য অর্থের যোগান নিয়ে অনেকটাই নিশ্চিন্ত সে। এর বাহিরে সরকারের অর্থ সহায়তা বা বাজেটের প্রভাব কিছুই নেই তার মাথায়।
‘টিভি দেখলেই না জানতাম। আমরা তো টিভি দেহিই না। আমাগো ঘরে টিভি না। বাজেট ক্যামনে কি করে, এইডা তো আমরা বুঝিনে।’ বলছিলেন তাজেরন আক্তার।
বাজেট নিয়ে ভাবনা নেই দিন এনে দিন খাওয়া মানুষেরও। তবে আশঙ্কায় থাকেন, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম নিয়ে।
এক কৃষক বলছিলেন, ‘যদি সার, ওষুধের দাম একটু ছাড় দেয় তাহলে আমাদের লোকজন একটু বাঁচতে পারতো।’
এক মুদি দোকানি বলেন, ‘সরকারি চাকুরীজীবীদের বেতন তো বাড়িয়ে দিচ্ছে কিন্তু এদিকে তো ট্যাক্স-ভ্যাট মিলিয়ে জনগণের চলতে কষ্ট হচ্ছে।’
অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে, আসছে ৪৭তম বাজেটের সম্ভাব্য আকার ধরা হয়েছে- ৪ লাখ ৬৮ হাজার ২শ’ কোটি টাকা। বিশাল আকারের এই বাজেট হবে গণমুখী, এমনটাই প্রত্যাশা সাধারণ মানুষের।
রাজধানীর এক সিএনজি অটোরিকশা চালক বলেন, ‘সরকার যে বাজেট করে সেটা যেনো ঠিকমতো খরচ করে। মন্ত্রী-এমপিরা সব খেয়ে ফেললে তো হবে না। রাস্তাঘাট কেটে এক মাসের জায়গায় ছয় মাস লাগিয়ে দেয়। বাজেটের টাকা কোথায় যায়?’
এক শিক্ষার্থী বলছিলেন, ‘বেলুন ফুলানো বাজেট যেনো না হয় যা আমরা বাস্তবায়ন করতে পারবো না।’
বলা হয়, একটি দেশের সম্ভাব্য আয় ব্যয়ের খতিয়ান এই বাজেট। এ কারণে এটি যেন, ভারসাম্যমূলক, কার্যকর, এবং দেশের সার্বিক উন্নয়নে কল্যাণ বয়ে আনতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে সবার আগে। এ জন্য বরাদ্দের ক্ষেত্রে যৌক্তিকতা যাচাই, আর ব্যয়ের ক্ষেত্রে আনতে হবে স্বচ্ছতা।