১. সোশ্যাল ডিস্টেন্সিং বা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, এক কথায় কিছু দিনের জন্য অসামাজিক হয়ে যাওয়া। যতই আপনজন হোক, দাওয়াতে যাবেন না, দাওয়াত দিবেন না। যে কোন ধরণের পাব্লিক গ্যাদারিং যেমন- বিয়ে শাদী, জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকী আয়োজন, মিলাদ মাহফিল, চায়ের দোকানের আড্ডা, সভা সমিতি সম্পূর্ণভাবে এভয়েড করতে হবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের হবেন না। কেউ এই ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করলে প্রশাসনকে জানান।
২. জরুরি কোন স্বাস্থ্য সমস্যা না থাকলে শুধুমাত্র খাবারে অরুচি, নিদ্রাহীনতা, মন খারাপ ইত্যাদি রোগের জন্য আপাতত হাসপাতালে যাবেন না। শুধুমাত্র দুইপাতা প্যারাসিটামল কিংবা গ্যাস্টিক এর ওষুধের জন্য হাসপাতালে ভিড় করে নিজের জীবন ও সত্যিকারের জরুরি রোগীর জীবন বিপন্ন করবেন না। সাধারণ সর্দি কাশি হলে ঘরে অবস্থান করে সিম্পটম্যাটিক চিকিৎসা নিন।
৩. আপনার ঘরে বা আশেপাশে বিদেশ ফেরত কেউ থাকলে তাকে কোয়ারেন্টাইনে বা ঘরে অবস্থান করতে বাধ্য করুন, প্রয়োজনে পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা নিন। কিন্তু দয়া করে সামাজিকভাবে তাহে হেয় প্রতিপন্ন করবেন না। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পেতে তাকে সহযোগিতা করুন। কারো মধ্যে কোন সন্দেহজনক লক্ষন দেখা দিলে হটলাইনে জানান।
৪. আল্লাহর কাছে মন থেকে নিজের জন্য, দেশ ও জাতির জন্য দোয়া করুন এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। একমাত্র মহান আল্লাহই পারেন এই ক্রান্তিলগ্নে আমাদের বাঁচাতে।
চিকিৎসক হিসেবে আমাদের জন্যে দোয়া করুন, যাতে আপনাদের সেবায় আমরা শেষ মুহূর্তে ও নিজেদের নিয়োজিত রাখতে পারি।
মহান আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।
লেখক
শাহীন আব্দুর রহমান
আরএমও, কক্সবাজার সদর হাসপাতাল।