ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত এবার ক্ষমতায় এলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পালিয়ে বেড়াতে হবে। তাই সেই বিভীষিকার যুগে মানুষ ফিরে যেতে চায় না। দেশের জনগণ আমাদের সাথে আছে। আমি স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, কোনো অপশক্তি নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না।’
দন্ডিত পলাতক আসামি তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্ট চলছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তারেক লন্ডনে বসে নির্বাচন বানচাল করতে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা (আইএসআই)’র সাথে ষড়যন্ত্র করছে। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকাস্থ পাকিস্তানের দূতাবাসে গোপন বৈঠক করেছে। এটা তাদের নির্বাচন ভন্ডুল করার ষড়যন্ত্র।’
তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী একেবারে কম। ঐক্যফ্রন্টের নিজেদের সৃষ্ট বিরোধ বাইরে ছড়িয়ে পড়েছে। গুলশানে দফায় দফায় বিএনপি অফিসে হামলা হচ্ছে। মির্জা ফখরুলের গাড়িতে হামলা হয়েছে। মনোনয়ন বঞ্চিতরা বলছে, টাকা ফেরত দাও নইলে মনোনয়ন দাও। সে ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট স্বস্থিতে আছে। আমি আগেই বলেছিলাম তারা (ঐক্যফ্রন্ট) সংকটে পড়বে। তারা মনোনয়ন বাণিজ্য করেছে। তাই তারা বিদ্রোহী প্রার্থীদের থামাতে পারছে না।’
নির্বাচন নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এবারের নির্বাচনে জনগণ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট প্রার্থীদের বিপূল ভোটে জয়ী করবে।
এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সূবর্ণচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ খায়রুল আনম সেলিম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী এমপি, নোয়াখালী পৌরসভা মেয়র শহিদ উল্লা খান সোহেল, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন’সহ দলীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।