ঢাকারবিবার , ১৫ মে ২০২২
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সোনাদিয়া দ্বীপে জলদস্যু একরাম নকিব বাহিনীর রাজত্ব চলছে

প্রতিবেদক
ক্রাইম রিপোর্ট

মে ১৫, ২০২২ ২:৩৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সোনাদিয়া দ্বীপে জলদস্যু একরাম নকিব বাহিনীর রাজত্ব চলছে

ক্রাইম রিপোর্ট

গড়ে উঠছে একাধিক মাদক সিন্ডিকেট

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর কক্সবাজার জেলার মহেশখালীর সোনাদিয়া দ্বীপ। জীববৈচিত্র্যে ভরপুর ঝাউবাগান, নদী ও নির্জন সমুদ্র সৈকতের কারণে দ্বীপটি পর্যটকদের পছন্দের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটক দল সোনাদিয়া দ্বীপে ছুঁটে আসে। সেখানে গড়ে উঠা অস্থায়ী কটেজের অধীনে তাবুতে রাত্রি যাপন করে দ্বীপটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করে। প্রাকৃতিক সৌন্দয্যের জন্য দ্বীপটি একদিকে যেমন সবার কাছে পরিচিত অপরদিকে টেকনাফ থেকে ইয়াবার নিরাপদ রুট হিসেবেও ইতোমধ্যে বেশ আলোচিত।অনুসন্ধানে জানা যায়, টেকনাফে প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের কারণে জেলা উপজেলার মাদক ব্যবসায়ীরা সোনাদিয়া দ্বীপকেই ইয়াবা খালাসের নিরাপদ জায়গা হিসেবে বেছে নিয়েছে। এই মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে সোনাদিয়া দ্বীপে কয়েকটি সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। কয়েকটি বাহিনী ভাগাভাগি করে সোনাদিয়া দ্বীপের পশ্চিম ও পূর্ব পাড়া নিয়ন্ত্রন করে। তার মধ্যে অন্যতম একরাম মেম্বার বাহিনী ও নকিব বাহিনী। এই বাহিনী শক্তিশালী মাদক সিন্ডিকেট গড়ে তুলে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করছে বলে জানা যায়।এছাড়াও তাদের সাগরের মহেশখালী, কুতুবদিয়া,ইনানী চ্যানেলে জলদস্যুতা করে যাচ্ছে এসব সিন্ডিকেট ।

খোঁজ নিয়ে আরো জানা যায়, ইমতিয়াজ উদ্দীন ওরফে নকিবের বিরুদ্ধে বিগত ২৪ অক্টোবর২০১৮ সালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে আত্মসমর্পন করে নকীব বাহিনীর প্রধান নকীব ও একরাম বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড মোনাফ,মোবারক ইদানিং জেল ছাড়া পেয়ে আবারো জলদস্যুতা ও ইয়াবা ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে এসব অপরাধীরা বিশেষ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকা ভুক্ত সোনাদিয়ায়র শীর্ষ সন্ত্রাসী একরাম বাহির ফারুক ও মোবারক। এছাড়াও সোনাদিয়া পশ্চিম পাড়ায় গড়ে তুলেছে অস্থায়ী কটেজ। সেখানে পর্যটক সাজিয়ে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আনয়ন করে নিয়মিত কটেজ ব্যবসা ও পর্যটনের আড়ালে ইয়াবা ব্যবসা চালাচ্ছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে এই একরাম বাহিনী ও নকিব বাহিনীর বিরুদ্ধে। এদিকে সোনাদিয়া দ্বীপে গড়ে উঠা কয়েকটি বাহিনীর মধ্যে একটি বাহিনীর ৫ সদস্য র‍্যাবের জালে ধরা পড়েছে। যাহা গত ৩ মার্চ দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন সূত্রে জানা যায়।,যারা সম্প্রতি দেশের সর্ববৃহৎ আইসের চালানের সাথে জড়িত ১২ কেজি আইস (যার বাজারমূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকার বেশি), এক লাখ পিস ইয়াবা ৪ হাজার ৬০০ পিস চেতনানাশক মাদক সিডাকটিভ ইনজেকশন, দুটি বিদেশি পিস্তল, নয় রাউন্ড গুলি, দুটি টর্চলাইট, মিয়ানমারের সিমকার্ড, এক লাখ ৬৪ হাজার বাংলাদেশি টাকা ও দুটি অস্ত্র মামলা ও নারী নির্যাতন সহ একাধিক মায়ানমারের মুদ্রা ও পাঁচটি মোবাইল ফোন সহ মামলা রয়েছে।তন্মধ্যে দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকা সন্ত্রাসী শাহীন আলম (৩৫), জসিম উদ্দিন ওরফে জসিম,ফারুক, মোবারক, মোনাফ গং কার্যক্রম পরিচালনা করতেছে সোনা মিয়া সওদাগর ও মামুন সওদাগরের মাধ্যমে যেই মামুন ও সোনামিয়া সওদাগর বাশখালী, কুতুবদিয়া, চকরিয়া কক্সবাজারের জেলে বহদ্দারদের থেকে মাসোহারা উত্তোলন সহ জলদস্যুতা কাজের সহায়তার বাহক ও মাধ্যম।সম্প্রতি খুরুশকুল এর ফিশিং ট্রলার লুটপাট এর ১৫ পিস জাল,৮ ট্যাংকি ডিজেলের দুই পিস স্থানীয় নেতাদের কাছে দিয়ে নেতাদের চোখে ভাল সাজার নাঠক করে বাকী মালামাল একরাম, মোনাফ,ফারুক গং ভাগভাটোয়ারা করছে বলে অভিযোগ রয়েছে মুল সিন্ডিকেট গ্যাং হোতাদের এরেস্ট করে আইনানুগ সর্বোচ্চ রিমান্ড এর ব্যবস্থা করলে ঘটনার নেপত্যে থাকা রাগব বোয়ালদের মুখোশ উন্মোচন হবে বলে মনে করেন এলাকার সচেতন মহল। সচেতন মহলের দাবী এসব অপরাধীরা চিহ্নিত তালিকা ভুক্ত জলদস্যু বহু ফেরারি মামলার আসামি হওয়া সত্বেও নির্বিঘ্নে ঘুরে বেড়াচ্ছে কিভাবে প্রশাসনের চোখে তুলসী পাতা সাজতেছে এই নিয়ে জনমনে নেতিবাচক প্রভাব দেখা দিচ্ছে। তারা হরহামেশা প্রতিনিয়ত সোনাদিয়া সাগর পয়েন্টে ডাকাতি লুটপাট জলদস্যুতা সহ মাদক দ্রব্য চালানের অভয়ারণ্যে পরিনত করেছে। এই প্রচুর সম্ভাবনা ময় ভার্জিন সোনাদিয়া ইকো টুরিজম পর্যটন দ্বীপটিকে। এমতাবস্থায় স্থানীয় সচেতন মহল ও টুরিস্ট প্রেমী আপামর জনসাধারণ উন্নয়নের সরকার এর বিশ্বাসী তদসংশ্লিষ্ট সকল দপ্তর ও জেলার সকল আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার দ্রুত আন্তরিক হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

সম্পর্কিত পোস্ট