অনলাইন ডেক্স:
কক্সবাজার ভূমি অধিগ্রহন শাখা (এলও) অফিসে চরম দূর্নীতি আর ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া এলও শাখায় একের পর এক দুর্নীতি ও আত্মসাতের ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে। পুরো অফিস যেন সার্ভিয়ার সাইফুল ইসলাম ও অফিস সহকারী নুরুল কবিরের জিম্মি দশায় রয়েছে। এই দু,জনের সেন্ডিকেটের বাইরে এখানে ফাইল অনুমোদন যেন আকাশ কুসুম কল্পনা। সম্প্রতি ওই সাইফুল- কবির সেন্ডিকেট নিয়ম বহির্ভূতভাবে, একই অফিসের কাননগো নুর চৌধুরীর মতামত ও স্বাক্ষর ছাড়া মহেশখালী ঝাপুয়া-আমাবশ্যাখালীর কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য ভূমি অধিগ্রহনের ক্ষেত্রে ২০ কোটি টাকার বিভিন্ন চেক ব্যাপক অনিয়ম করে কমিশন ভিক্তিক পাশ করিয়ে দে। এসব অনিয়মের বিষয়ে কথা বললে খোদ কাননগো নুর চৌধুরীকে ওই কবির-সাইফুল সেন্ডিকেট কৌশূলে অপসারণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মহেশখালী মাইজ পাড়ার নাম প্রকাশে অনিইচ্চুক ভোক্তভোগী জানিয়েছেন, তার একটি ফাইল এলও অফিসে জমা দিলে, ওই নুরুল কবির ও সাইফুল সেন্ডিকেট তার কাছে কমিশন দাবী করে বসে। তাদের দাবীকৃত কমিশন না দিলে ওই কোন দিন পাশ হবে না বলে পরিস্কার জানিয়ে দেন। পরে তাদেরকে কমিশন দিয়ে ফাইল পাশ করিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেন ওই ভোক্তভোগী। মহেশখালী ধলঘাটার রুবী আক্তার জানিয়েছেন, তার একটি ফাইল এলও অফিসে জমা দিলে, ওই নুরুল কবির ও সাইফুল সেন্ডিকেট তার কাছে তার ফাইল না দেওয়ায়, ওই ফাইলের টাকা আটকে রেখেছেন বলে জানান ভোক্তভোগী। মহেশখালী ধলঘাটার রজিউল্লাহ সিকদারের মেয়ে রেবেকা জানিয়েছেন, তার একটি ফাইল এলও অফিসে চিহ্নিন্ত দালালের মাধ্যমে জমা না দেওয়ায়, ওই নুরুল কবির ও সাইফুল সেন্ডিকেট তার ফাইলটিও আটকে দেন। একই এলাকার আরো অনেকে জানিয়েছেন, এ এলও অফিসে দালাল ও নির্দিষ্ট লোকদের মাধ্যমে ফাইল না দিলে, তাদের ফাইলে নানা অসংগতি আছে বলে ওইসব আটকিয়ে তাদের কাছে কমিশন দাবী করে বসে ওই সেন্ডিকেট। তাদের দাবীকৃত টাকা না দিলে অনেক ফাইল হারিয়ে গেছে বলে লুকিয়ে ফেলেন বলেও অভিযোগ কম নয়। সচেতন মহল এসব অপকর্মকাদের দ্রুত অপসারন দাবী করেন। এবিষয়ে অভিযোক্ত অফিস সহকারী নুরুল কবির অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তিনি তার উর্ধ্বতন স্যারদের নির্দেশনা পালন করেন মাত্র। তবে অনিয়ম আর সেন্ডিকেটের বিষয়ে তিনি মোবাইলে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানিয়ে প্রতিবেদককে তার অফিসে আসার আমন্ত্রণ জানান। পরে অভিযোক্ত সার্ভিয়ার সাইফুল ইসলাম জানান, তিনি রিপোর্ট দিয়ে তার দায় শেষ। কে স্বাক্ষর করলো, কে করলো না সেটা তার এখতিয়ার না। তবে এক প্রশ্নের জাবাবে তিনি সাধারণ সেবা প্রার্থীদের মন খুশি করতে পারছে বলে জানিয়ে বিভিন্ন পার্টি/ দালালদের মাধ্যমে কাজ করছেন বল স্বীকার করেন। এসব বিষয়ে শুভাশীষ চাকমার সাথে মোবাইলে বার বার যোগাযোগ করেও ফোন রিসিভ না করাই কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। কক্সবাজার দুদকের আইনজীবি আবদুর রহিম এসব অভিযোগের কথা স্বীকার জানিয়েছেন, তারা এসব বিষয় সরজমিন তদন্ত করে ঘটনার সত্যইতা পেয়েছেন। এসব বিষয়ে দুদকের আরো তদন্ত দরকার করে দুষিদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন। এই ব্যাপারে কক্সবাজারের নবাগত জেলা প্রশাসক শাহিন এমরানের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে কাননগো নুর চৌধুরীকে ভূমি মন্ত্রনালয় থেকে বদলি করা হয়েছে বলে জানান ডিসি।