কক্সবাজার উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী ২ নং ওয়ার্ডের মোহাম্মদ ইসলাম এর ছেলে নুরুল আলম কৃষক লীগ,কমিউনিটি পুলিশ ও প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে নানা অপকর্ম।
ছাত্রজীবনে শিবিরের ক্যাডার হিসেবে রাজনীতি শুরু করা নুরুল আলম দীর্ঘদিন যাবত বিদেশে ছিলেন।দেশে ফিরেই তিনি কক্সবাজার জেলা কৃষক লীগের স্থানীয় বিষয়ক সম্পাদক, উখিয়া উপজেলা কমিউনিটি পুলিশের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক এবং বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন উখিয়া উপজেলার অর্থ বিষয়ক সম্পাদক বনে যান।
এরই সুবাদে তিনি অস্ত্র ও মাদকের ব্যবসা, মানব পাচার, মামলার হুমকি দিয়ে অর্থ আত্মসাৎ, বিদেশে পাঠানোর নাম করে অর্থ আত্মসাৎ থেকে শুরু করে নানা অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
নুরুল আলমের ইন্ধনে তার আপন ভাই নুরুল আমিন এবং চাচাতো দুইভাই ইয়াবা কারবারে জড়িয়ে পড়ে।নুরুল আমিন ইয়াবা সহ গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে কারাগারে রয়েছে।চাচাতো দুইভাই ঢাকায় ইয়াবা সহ গ্রেফতার হলেও বর্তমানে জামিনে রয়েছে।নুরুল আলম দিনের আলোতে সমাজ সেবকের বেশ নিলেও রাতের আধারে হয়ে উঠে ভয়ঙ্কর ও বেপরোয়া। রাত হলেই চলে মদ, জুয়া,ইয়াবা ও ফেনসিডিলের আসর।
নুরুল আলম মামলা -হামলার হুমকি ও প্রশাসনের ভয় দেখিয়ে এমনকি বিদেশে পাঠানোর নাম করে অনেকের কাছ থেকে অর্থ আত্মসাৎ করেছে। আত্মসাৎকৃত টাকা ফেরত চাইতে গেলেই চলে আসে মামলা-হামলা হুমকি ও নির্যাতন।
তার প্রতারণার শিকার কয়েকজন ভুক্তভোগীর মন্তব্য লিখিত আকারে দেওয়া হল যার ভিডিও ফুটেজ প্রতিবেদনের কাছে রয়েছে।
তন্মধ্যে গফুর হাজী নামক এক বৃদ্ধ বলেন,”কিছুদিন আগে সন্ধার সময় নুরুল আলম আমাকে ফোন করে তা বাসায় ডেকে নিয়ে যায়,তারপর র্যাব আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছে এবং সেই মামলার চার্জসীট থেকে নাম বাদ দিবে বলে ২লক্ষ টাকা দাবী করে,পরবর্তীতে একপ্রকার ভয় দেখিয়ে একদিন সময় দিয়ে আমার কাছ থেকে ১লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেই।ঐসময় তার সাথে অছিউর রহমান নামের আরেকজন উপস্থিত ছিল।”
আমিনা খাতুন বলেন,”আমার ছেলের নামে মামলা হয়েছে তাকে পুলিশ থেকে রক্ষা করার কথা বলে নুরুল আলম আমার কাছ থেকে প্রথমে ৪৫ হাজার এবং পরবর্তীতে আরো ২০হাজার টাকা নেই,আমি গরীব মানুষ অনেক কষ্টে ধারদেনা করে সেই টাকা দিয়েছি।”
পশ্চিম পাড়ার মকবুল আহমেদের ছেলে দিদার বলেন,”আমি একটি দোকানে ছাদ দিতে গেলে জরিমানার ভয় দেখায়, পরে ইউএনও কে দিতে হবে বলে আমার কাছ থেকে ২০হাজার টাকা নিয়ে যায় নুরুল আলম।”
তাছাড়া নুরুল আলমের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা পাচার এবং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্র সরবরাহ সহ নানা অভিযোগ করছে স্থানীয়রা।
স্থানীয় সচেতন মহল এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনার পাশাপাশি নুরুল আলমের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করছে।