জসিম সিদ্দিকী:পর্যটন রাজধানী কক্সবাজারে পৌষের শীতে থুবথুবু হয়ে পড়ছে। তীব্র শীতের সাথে উত্তরা হিমেল হাওয়া যোগ হওয়ায় শীতের প্রকোপ আরো বাড়ছে। সেই সাথে মৃদু শৈত্য প্রবাহের কারণে গত কয়েক দিন থেকে সূর্যের আলো দেখা না যাওয়ায় কাঁপছে কক্সবাজারের জনগণ।
তীব্র শীতকে মোকাবিলা করতে জেকেট, মাপলার, সুইটার ও শীত টুপিসহ রকমারি শীতের কাপড় কিনতে অভিজাত মার্কেট থেকে শুরু করে হকার মার্কেট, ফুটপাতের দোকান ও ভাম্যমাণ দোকান ক্রেতাদের ভিড় ছিল লক্ষণীয়।
নিম্ন আয়ের লোকজন কম দামের শীতবস্ত্র কেনার জন্য ফুটপাতের দোকানসমূহে ভিড় জমান। অভিজাত দোকানে ৫ হাজার থেকে শুরু করে ৩-৪ হাজার টাকা পর্যন্ত ও ফুটপাতের দোকান গুলোতে ১০০ টাকা থেকে ৩ শত টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে শীতের এইসব গরম কাপড়।
এদিকে শীতে কাঁপছে রোহিঙ্গারা। মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রিত কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পে বেশিরভাগ রোহিঙ্গা জীবনের নিশ্চয়তার পাশাপাশি মাথাগোঁজার ঠাঁই এবং খাদ্য সামগ্রী পেলেও এখনো তাদের ভাগ্যে জোটেনি প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্র। তাই প্রতিরাতে শীত যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে অসহায় মানুষগুলো।
অন্যদিকে তীব্র শীতল বাতাস ও শৈত্যপ্রবাহের কারণে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত্র হচ্ছে সর্দি, কাঁশি ও জ্বরসহ বিভিন্ন রোগের আক্রান্ত হচ্ছে সবচেয়ে বেশি শিশুরা। স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডাক্তাররা জানান, প্রচন্ড শীত ও শৈত্য প্রবাহের কারণে শিশুরাই বেশি ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। শিশুদের গরম কাপড় পড়ার পরামর্শ দেন বলে জানান।