নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ ২২ আগস্ট পবিত্র ঈদুল আজহার দিন। এ রজনী দিনে রোহিঙ্গাদের খাবারের তালিকায় মাংস রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা বাস্তবায়নে গত এক সপ্তাহেরও বেশী সময় ধরে মাঠে কাজ করছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টরা।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, উখিয়া ও টেকনাফের প্রায় ৫ হাজার একর বনভূমি উজাড় করে ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে সরকার। বিভিন্ন দাতা ও সেবা সংস্থার সহযোগিতায় তাদের জন্য অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করা হয়েছে। এবার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তাদের ঈদ আনন্দকে বাড়িয়ে দেয়ার। এই লক্ষ্যে ৩০টি ক্যাম্পের ১ লাখ ৯৫ হাজার রোহিঙ্গা পরিবারকে কোরবানির মাংস দেয়া ব্যবস্থা করা হয়েছে।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নিকারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, শুধু রোহিঙ্গা নয়, রোহিঙ্গা আশ্রয় দিতে গিয়ে ক্ষতির মুখে পড়া স্থানীয় দরিদ্র পরিবারগুলোতেও কোরবানির দিন পশুর মাংস বিতরণের জন্য যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, মাংস সরবরাহ ও বিতরন মনিটরিং করতে জেলা প্রশাসককে প্রধান করে ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, যত পশু উপহার হিসেবে পাওয়া যাবে। তার ২৫ ভাগ স্থানীয়দের জন্য ও বাকিগুলো রোহিঙ্গাদের মাঝে বিতরণ করা হবে। তিনি আরো বলেন, প্রতিটি পরিবার যাতে অন্তত ঈদের দিন মাংস খেতে পারে সে বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।
উল্লেখ্য যে, গত বছরের ঈদুল আজহার সময় রোহিঙ্গাদের জীবন সংশয়ে ছিল। প্রাণ বাঁচাতে তারা আশ্রয় নিয়েছিল বন-জঙ্গল, পাহাড়, আর ধান-ক্ষেতে। নিজ দেশের সেনাবাহিনীর হাত থেকে জীবন বাঁচাতে মাইলের পর মাইল হেটে, ছোট ডিঙ্গিতে করে উত্তাল সাগর পাড়ি দিয়ে কিংবা সাতরে নদী পার হয়ে এপারে আশ্রয় নেয় লাখ লাখ রোহিঙ্গা।