নিজস্ব প্রতিবেদক :
রুমান সচেতন কল্যান সংস্থা এনজিও শ্রমজীবি শিশুদের প্রকল্পের টাকা নিয়ে উধাও।
রুমান সচেতন কল্যান সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুর রহমান প্রধান কার্যালয় পাট গুদাম ময়মনসিংহ সেই একজন এন জি ও ভিত্তিক প্রতারক। সে ইতিমধ্যে কক্সবাজার বৈদ্যঘোনা আলমগীর টাওয়ার এলাকায় অফিস নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত সারা বাংলাদেশ ব্যাপি এক লক্ষ শ্রমজীবী শিশুর ১১২টা এনজিওর মাধ্যমে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম প্রদান করেন।
তার মধ্যে রুমান সচেতন কল্যাণ সংস্থার মাধ্যমে কক্সবাজার পৌর এলাকার ৪, ৭ ৮, ৯, ১১, ও১২ নং ওয়ার্ডের মোট ৮৯৩ জন শ্রমজীবী শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা বাড়ানোর জন্য জরিপ চালিয়ে তাদের তালিকা তৈরি করে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মতে উক্ত শিক্ষার্থীদের কে মোট ৩৬ টি কেন্দ্রর মাধ্যমে ৩৬ জন শিক্ষক নিয়োগ পূর্বক কাজ চালিয়ে যাওয়া প্রকল্পের প্রধান চুক্তি ছিল। কিন্তু রুমান সচেতন কল্যাণ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুর রহমান তা না করে আনুমানিক ১২ থেকে ১৫ জন শিক্ষক নিয়োগ করে উক্ত শ্রমজীবী শিশুদেরক তাদের নিজের মত করে শিক্ষা প্রদান করেন।যাহা প্রকল্পের চুক্তির বহির্ভূত নয়। শিশুদেরকে যে উপকরণ দিয়ে লেখাপড়া ছালিয়ে যাওয়ার কথা ছিল তাও পর্যাপ্ত পরিমাণে দেয়া হয় নাই।
প্রকল্পের চুক্তিতে উল্লেখ ছিল যে, প্রত্যক শিক্ষাথীকে প্রতিমাসে ১ হাজার টাকা করে বিকাশের মাধ্যমে উপবৃত্তি প্রদান করার কথা ছিল।সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মাহবুব শিক্ষার্থী ও গার্ডিয়ানের মাঝে সে কথা গোপন রেখে গার্ডিয়ানের নিজেদের এন আইডি কার্ড দিয়ে এক একটা সীম বিকাশ করে অফিসে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। তা আবার সংস্থা নিজেদের লোক দিয়ে অভিভাবকদের কে নিয়ে গিয়ে নতুন সীম সংগ্রহ করে সে নাম্বার বিকাশ করে নেন।
তার কথা মত ৮৯৩ জন শিক্ষার্থীর অভিভাবক নিজেদের নামে রেজিস্ট্রেশন করা সীম বিকাশ খুলে রুমান সচেতন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুর রহমানকে জমা প্রদান করেন।
উল্লেখ্য যে প্রকল্পের নিয়ম অনুসারে উক্ত নাম্বারে প্রতি মাসে ১০০০ টাকা করে ঢুকলে ও সে টাকা শ্রমজীবি শিক্ষার্থীদে মাঝে বিতরণ না করে প্রকল্পের মেয়াদ ১০ মাসের টাকা আত্মসাৎ করে অফিসে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যায়।
এলাকায় জরিপ চালিয়ে জানা যায় তার অতি ঘনিষ্ঠ কয়েকজন কে ১০০০ টাকা করে তিন মাস প্রদান করে বাকি টাকা পরে দেওয়া হবে বললে ও এখন পর্যন্ত দেওয়া হয়নি।
এ কথা অন্য শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ জানতে পারলে নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুর রহমানের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও ফোন রিসিভ করেন না। দু’ একজনের ফোন রিসিভ করলেও বলে আমি এসব কিছু জানি না বলে অস্বীকার করেন।
এখন অভিভাবক শিক্ষার্থীরা মান্যবর জেলাপ্রশাসক ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতি তদন্ত সাপেক্ষে সরকারি টাকা আত্মসৎকারী কথিত এন জি ও রুমান সচেতন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুর রহমানকে গ্রেফতার পূর্বক আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি জানান।
অভিযোগের ব্যপারে সিএনএ কতৃপক্ষ নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুর রহমান কে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে সে সাক্ষাতে কথা বলবে বলে মোবাইল রেখে দেন। পরে সংস্থার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কে দিয়ে প্রতিবেদকে এ সংবাদ প্রকাশ করলে আপনার মান-মর্যাদা হানি করব বলে হুমকি বার্তা দেন।
বিঃ দ্রঃ- বিস্তারিত পরবর্তী রিপোর্টে প্রকাশ করা হবে।