কক্সবাজারের রামুতে একই রাতে ২টি বসত বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতি চলাকালে ডাকাতের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছে অপর ডাকাত। নিহত ডাকাত সালমান (৩২) রামু উপজেলার রশিদনগর ইউনিয়নের ধলিরছড়া পাহাড়তলী এলাকার শফিক আলমের ছেলে। এছাড়া ডাকাতি চলাকালে ডাকাতের মারধরে গৃহকর্তা রশিদ আহমদ ও তার ৩ ছেলে আহত হয়েছেন।
সোমবার (১৬ আগস্ট) দিবাগত রাত ২টার দিকে রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের রাবার বাগান সংলগ্ন রশিদ আহমদের বাড়িতে এবং একই সময় দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ঘাটপাড়া এলাকায় কক্সবাজার জেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগের সাধারণ সম্পাদক মুফিজুর রহমানের বাড়িতে এসব ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
জোয়ারিয়ানালায় আহত গৃহকর্তা রশিদ আহমদ জানান- প্রায় ২০ জনের একটি অস্ত্রধারী ডাকাতদল তার বাড়িতে প্রবেশ করে আসবাবপত্র ভাংচুর ও লুটপাট শুরু করে। এসময় বাধা দিতে গিয়ে ডাকাতের হামলঅয় তিনি এবং তার ৩ ছেলে রুবেল, সাইফুল ও শহিদুল ইসলাম আহত হন। ডাকাতি চলাকালে বাড়ির পাশর্^বর্তী তার ভাইয়ের ছেলেরা এগিয়ে এসে ২ ডাকাতকে ধরে ফেলে। এরমধ্যে একজন পালিয়ে যায় এবং কিছুক্ষণের মধ্যে কয়েকজন ডাকাত তাকে উদ্ধারের জন্য এসে উল্টো তার শরীর লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে গলার উপর অংশে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান ডাকাত সালমান।
ডাকাতদল তার বাড়ি থেকে স্বর্ণালংকারসহ মালামাল লুট করে।
খবর পেয়ে রাতে ঘটনাস্থলে যান রামু থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলাম, ওসি তদন্ত অরুপ কুমার চৌধুরী ও জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল শামসুদ্দিন আহমেদ প্রিন্স। এ ঘটনায় আহত রশিদ আহমদ ও তার ৩ ছেলেকে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল শামসুদ্দিন আহমেদ প্রিন্স জানান- দীর্ঘদিন ধরে একটি সংঘবদ্ধ চক্র জোয়ারিয়ানালা, ঈদগড় সহ আশপাশের এলাকায় লোকালয় ও বনাঞ্চলে ডাকাতি, অপহরণের ঘটনা সংগঠিত করে আসছে।
এদিকে দক্ষিণ মিঠাছড়ির বাসিন্দা কক্সবাজার জেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগের সাধারণ সম্পাদক মুফিজুর রহমান জানান-রাতে একদল ডাকাত তার বাড়িতে প্রবেশ করে বৃদ্ধ বাবা আজিজুর রহমান, মা রহিমা বেগম ও ভাই মনিরুল আলমকে একটি কক্ষে জিম্মি করে পুরো বাড়ির আসবাবপত্র তছনছ করে স্বর্ণালংকার বিপুল মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) সকালে রামু থানার এসআই জাফর উল্লাহ ঘটনাস্থলে যান।
রামু থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন-নিহত ডাকাতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পৃথক ঘটনায় লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।