করোনার প্রকোপ কমাতে দেশে সাতদিনের সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। তবে মানুষের জীবন রক্ষায় কঠোর এই লকডাউন আরও অন্তত সাতদিন বাড়াতে হবে বলে মনে করেন কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির সদস্য ডা. কাজী তারিকুল ইসলাম।
শনিবার (৩ জুলাই) দিবাগত রাতে একাত্তর টেলিভিশনের নিয়মিত অনুষ্ঠান ‘একাত্তর মঞ্চে’ অংশ নিয়ে এমন মত দেন তিনি। অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকও যুক্ত ছিলেন।
জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির প্রস্তাবিত ‘শাটডাউন’ শব্দটি নিয়ে নানান রকম কথা হয়েছে উল্লেখ করে ডা. কাজী তারিকুল বলেন, আসলে লকডাউন শব্দটা যেভাবে বারবার ব্যর্থ হয়ে যাচ্ছিল, তা থেকে বেরিয়ে এসে আমরা চেয়েছিলাম অন্তত ১৪ দিন যেন সব কিছু বন্ধ করে রাখা যায়। আমরা জানি, এসময় মানুষের জীবিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে- আবার তা নিয়ে সরকার কিছু কাজ করবে, বিত্তশালীরাও এগিয়ে আসবেন। শুধু সরকারের একার পক্ষে এটা দেখা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, সেজন্যই আমরা বলেছিলাম ১৪ দিন অবশ্যই সব কিছু বন্ধ রাখতে হবে, আজ লকডাউনের তিনদিনের মাথায় এসে এখনও আমি বলছি, এই সাতদিন শেষ হওয়ার একদিন আগে সরকার আরও সাতদিনের লকডাউন ঘোষণা দেবে, এটাই আমার আশা। আমার কাছে জীবন অত্যন্ত বড়, শুধু আমার কাছে না সবার কাছেই জীবন খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে কোরবানির ঈদ করতে পারলাম কি পারলাম না- তার চেয়ে বড় এই বিষয়টি। হয়তো মানুষের মৃত্যুর সারি বাড়বে, সে জন্য কোরবানির ঈদের ব্যাপারেও কমিটি সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন দিয়েছে।
গতবছরের কোরবানির ঈদেও সংক্রমণ বেড়েছিল উল্লেখ করে সাবেক এই সরকারি কর্মকর্তা বলেন, আমরা গতবছরও দেখেছি দুই ঈদের মাঝখানে অবস্থা খুবই খারাপ হয়। তবে এবারের পরিস্থিতি আরও ভয়ানক। কারণ এবারের যে ডেল্টা ভেরিয়েন্ট তা অত্যন্ত ভয়ানক। যারা ভেবেছিলেন, করোনা শুধু বড়লোকদের সংক্রমিত করে, তারা এবার বুঝতে পারছেন করোনা কাউকেই ছাড়ে না। এই ভেরিয়েন্ট শহর-গ্রাম সর্বত্র দ্রুত ছড়ায়।
এই ভয়াবহতা থেকে মানুষকে রক্ষা করতেই লকডাউন আরও সাতদিন বাড়াতে হবে বলে মনে করেন ডা. কাজী তারিকুল ইসলাম।