মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কাছে একজন ভুক্তভোগী নিরীহ মানুষের আকুল আবেদন।
মাননীয় প্রধান মন্ত্রী মহোদয়,
আদাব নিবেন,
আপনার নিকট এই অধমের আকুল আবেদন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের বড় নেতা পরিচয় দিয়ে, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনরত সিলেটের লাখাই গ্রামের বাসিন্দা প্রতারক হারুন রশিদ, বিভিন্ন সময় বঙ্গভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ও মহান সংসদ এলাকা ছবি পোস্ট করে আমাদের সাথে বিশ্বাস জমাইয়া কক্সবাজারে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মলীগের কক্সবাজার জেলা কমিটি ঘোষণা করেন ২০১৫ সালে। উক্ত সময় হইতে তার সাথে আমাদের ভালো বিশ্বস্থতা জমায়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার কাছে আবেদন রইল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নাম দিয়ে এসমস্ত ভন্ড প্রতারক মোঃ হারুনুর রশিদ, রামু উপজেলার বাসিন্দা পল্লী চিকিৎসক ভুবন ধর এর নিকট হইতে ২০১৫ সালে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর নিয়োগ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি লোকবল নিয়োগ চলছিল। সে বলে আমার সাথে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক এর সাথে ভালো সম্পর্ক আছে, আরো বলে উনার সাথে আমার পারিবারিক সম্পর্ক আছে উনি আমার আত্মীয় ও হয়। আমি চাইলে উক্ত চাকরি দিতে পারি। আমরা তাকে বিশ্বাস করছিলাম কারন সে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমাদের কাছে সেই প্রিয় নেতা। উক্ত সুযোগ কাজে লাগিয়ে কক্সবাজারের মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মলীগ সভাপতি খালেদ নেওয়াজ আবু ও সিনিয়র সহ-সভাপতি আমি স্বপন কান্তি দে ও উপজেলা সভাপতি বেদারুল আলম কে প্রপোজ করে চাকরি দিবে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ডিজে সাথে কথা বলছি বলে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে ৭ (সাত লক্ষ) টাকা নেয়। টাকা নেওয়ার পর হতে অদ্যবধি চাকরি দূরের কথা, জানতে পারলাম সে স্বাস্থ্য মহাপরিচালক মহোদয়কে কে চিনেন ও না। আমরা অনেক বলার পর কক্সবাজার হইতে একজন লোকে ঢাকায় পাঠিয়ে ছিলাম, সে উনাকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণায়ে নিয়ে গিয়ে রাস্তায় গেইটের বাহিয়ে বসিয়ে রেখে বলে তুমি এখানে থাক আমি ডিজির সাথে সাক্ষাৎ করে আসি। এ কথা বলে সে ভিতরে ঢুকে, কক্সবাজার থেকে যে লোক গেছে সে ঢুকতে চাইলে বলে বলে ওখানে প্রবেশ করা যাবে না, এটা গোপন কাজ আমি করেতছি, তুমি চিন্তা করিও না। একঘন্টা পরে বের হইয়া বলে কাজ হয়ে যাবে, কথা হয়েছে। এ কথা বলে মিথ্যা সান্ত্বনা দিয়ে তাকে কক্সবাজার পাঠিয়ে দেয়। বিশ্বাস করে সে কক্সবাজার চলে আসে। সে কিছু বলতে চাইলে বরং তাকে আরো প্রশাসনের ভয় দেখিয়ে ধমক দেয়, আরো বলে আমি কক্সবাজার এসপি কে বলে দিব তোমাদেরকে মিথ্যা মামলা ঢকিয়ে দিব। আর টাকা খুঁজিও না। ওদিকে টাকা প্রদানকারী পল্লী চিকিৎসক ভুবন কান্তি ধর বর্তমানে অসুস্থ হইয়া চট্টগ্রামে মেডিকেল কলেজে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এ কেমন মানুষ টাকা খুঁজতে গেলে সে আবার সান্তনা না দিয়ে বরং মোবাইল রিসিভ করেন না। মাঝে মধ্যে ফোন দিলে রিসিভ করে বলে আমি মিটিংয়ে আছি। বঙ্গভবনে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় আছি। এই সমস্ত কথা বলে। সে নাকি আরো যুব মানবাধিকার সংগঠনের চেয়ারম্যান। এই ভন্ড প্রতারকে দলের ভাবমূর্তি নষ্টকারী এই হারুনুর রশিদকে কিভাবে আইনের আওতায় নেওয়া যায়, এ জন্য বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও কার্যনির্বাহী সদস্যবৃন্দের নিকট আবেদন রইল দলের নাম ভাঙ্গিয়ে এ সমস্ত ভন্ড প্রতারক মোঃ হারুনুর রশিদ কে কি ভাবে টাকা উদ্বার পূর্বক শাস্তি প্রদান করা যায় ও ভবিষ্যতে আর কেউ যেন দলের নাম ভাঙ্গিয়ে এই সমস্ত কাজ না করে, সেটা ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ রইল।আমার জানা মতে সেই হারুনুর রশিদ আরো অনেক নিকট হইতে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ পাইয়ে দিবে বলে ডুকোমেন্ট দিয়ে টাকা নিয়েছে।এ দিকে পল্লী চিকিৎসক গরিব মানুষ ভুবন ধরকে প্রাদান কৃত টাকা আদায়ের জন্য জরুরি ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে আপনাদের নিকট আকুল আবেদন রইল। টাকা দেওয়া প্রসঙ্গে ব্যাংকের স্টেটমেন্ট সহ- প্রয়োজনীয় কথা মোবাইলের রেকর্ডিং অাছে। অনুগ্রহপূর্বক এই সহজ-সরল গ্রামের পল্লী চিকিৎসক র রামু উপজেলার রাজারকুল এর বাসিন্দা ও বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেলে অবস্থানরত মৃত্যুশয্যায়ী ভুবন ধর কে টাকাগুলো পাওয়ার ব্যবস্থা করে দিলে একটা মানুষের জীবন বাঁচানো যাবে। মানুষ মানুষের জন্য জীবন জীবনের জন্য, এটা বিবেচনা করে, টাকা দেওয়া এটা অপরাধ। অপরাধ স্বীকার পূর্বক মার্জনা করে, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ও ঢাকায় অবস্থিত বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দের কাছে ডাক্তার ভুবন ধরের জীবন বাঁচানোর জন্য উক্ত ভন্ড রাজনৈতিক পরিচয়দানকারী ও মানবাধিকার সংগঠন পরিচয় দানকারী সিলেট- এর লাখাই গ্রামের বাসিন্দা বর্তমানে ঢাকায় অবস্থানরত হারুনুর রশিদ ধরে, উত্ত টাকাগুলো আদায় করে একজন মুমূর্ষ রোগীকে বাঁচানোর জন্য আপনার কাছে আবেদন জানাচ্ছি। সাথে
উক্ত প্রতারক যাতে ভবিষ্যতে আর কোন মানুষের এই ভাবে প্রতারনা করতে না পারে এজন্য আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট সবিনয় আবেদন। এদিকে কক্সবাজারের আরো অনেকের কাছ থেকে ব্যাংকের চেক দিয়ে কাজের লোভ দেখিয়ে, বিশাল লাভে প্রলোভন দেখিয়ে, সরকারি খাস জায়গা কক্সবাজারের মাননীয় ডিসি মহোদয়ের নিকট হইতে বন্ধ বস্তির নিয়ে দিবে বলে অনেক টাকা নিয়েছে যা দুদক তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে। ঐ ভন্ড প্রতারক এর নাম্বার দেওয়া হইল। ০১৭১৮১৩৮১০৬ । আমরা যোগাযোগ করলে ফোন রিসিভ করে না।
সবিনয় আবেদনকারী
পল্লী চিকিৎসক
ভুবন ধর
রামু- কক্সবাজার।