চলমান লকডাউনের মধ্যে সরকার অনুমোদিত স্থলবন্দর ব্যবহার করে আগামী ১৪ জুলাই পর্যন্ত সপ্তাহে তিনদিন (রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার) স্থলবন্দর ব্যবহার করে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করা যাবে। ১ জুলাই থেকে এটা কার্যকর হয়েছে।
রোববার (৪ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের ভার্চ্যুয়াল বুলেটিনে এ তথ্য জানান তিনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম।
তিনি জানান, বাংলাদেশের অনেক নাগরিক চিকিৎসাসহ বিভিন্ন কারণে প্রতিবেশী দেশ ভারত ও অন্য দেশে ভ্রমণ করেন।
সরকারের যেসব নিয়ম-কানুন আছে, সেগুলো প্রতিপালন করে তারা অনেকেই স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে আসেন।
‘ভারতে অবস্থানরত নাগরিকরা অনুমোদিত স্থলবন্দর— বেনাপোল, আখাউড়া, বুড়িমারী, হিলি, দর্শনা ও সোনা মসজিদ বন্দর দিয়ে সপ্তাহে তিনদিন বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারবেন।
অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, সারাদেশে অক্সিজেন সরবরাহের কোনো সংকট নেই। দেশে প্রতিদিন যে পরিমাণ অক্সিজেনের চাহিদা রয়েছে, তার চেয়ে বেশি উৎপাদন হয়।
এমনকী এই মুহূর্তে দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন সরবরাহ রয়েছে।
তিনি বলেন, দেশে যারা অক্সিজেন উৎপাদন করেন, তাদের প্রত্যেকের সঙ্গে আমরা প্রতিনিয়ত বৈঠক করছি। প্রতিদিনই তাদের আমরা আমাদের চাহিদা জানিয়ে দিচ্ছি। কাজেই এই মুহূর্তে অক্সিজেনের কোনো সংকট নেই। কিন্তু রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেলে সেটি আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
এর আগে গত কয়েকদিনে বেশ কয়েকটি জেলায়, বিশেষ করে সাতক্ষীরা, খুলনা এবং বগুড়ায় করোনা ভাইরাসের রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েও অক্সিজেনের অভাবে মারা গেছে বলে জানিয়েছেন রোগীর আত্মীয়-স্বজনরা।
ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, অক্সিজেনের অভাবে বিভিন্ন জেলায় কিছু রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে। এ ঘটনায় আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তদন্ত প্রতিবেদন আসবে, সেটি হাতে পাওয়ার পর নিশ্চয়ই আমরা আপনাদের সঙ্গে কথা বলবো। কিন্তু দেশে অক্সিজেনের কোনো সংকট নেই। দেশে প্রতিদিন যে পরিমাণ অক্সিজেনের চাহিদা রয়েছে, তার চেয়েও বেশি পরিমাণ অক্সিজেন উৎপাদন হয়।
তিনি বলেন, গত কয়েকদিনে আমাদের অক্সিজেন সিলিন্ডারের সংখ্যা বেড়েছে। কারণ দেশে অক্সিজেনের চাহিদাও বেড়েছে