ভোটার তালিকা নিবন্ধন আইন অনুযায়ী বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু ভবিষ্যতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার করার রীতি থাকছে না। আইন অনুযায়ী প্রতি বছর ভোটার হালনাগাদ করার কথা থাকলেও তা অনুসরণ করা হয় না। এক্ষেত্রে বিকল্প চিন্তা করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে বছর জুড়েই চলবে ভোটার কার্যক্রম। বিশেষ করে এখন থেকে ঘরে বসে অনলাইনে ভোটার করার পরিকল্পনা করছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
ইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, ভোটার হওয়ার যোগ্য হলেই দেশের নাগরিক হিসেবে অনলাইনে আবেদন করবেন। সংযুক্ত কাগজপত্র যাচাইয়ের পর ইসির দেওয়া সময় অনুযায়ী নিজ নিজ উপজেলা নির্বাচন অফিসে যাবেন। এরপর সংশ্লিষ্ট অফিসার উপযুক্ত ব্যক্তিকে পুনরায় তথ্য যাচাইয়ের পর অফিসে ডেকে ছবি তুলে ভোটার করবেন। কমিশন এভাবেই ঘরে বসেই যোগ্যদের ভোটার করবে। বর্তমানে ইসির নতুন ভোটারসহ সার্বিক কার্যক্রম চলছে অনলাইনে; ভবিষ্যতেও এই ধারাবাহিকতা অনুসরণ করা হবে। তবে পুরোপুুরি এই কার্যক্রম পরিচালনা করতে আইন সংশোধন করা লাগবে।
প্রবাসে ভোটার করা নিয়ে অনিশ্চয়তা
ইসি-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ভোটার তালিকা নিবন্ধন আইন অনুযায়ী প্রতি বছর ১ জানুয়ারি বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা ছিল। বর্তমান কে এম নুরুল হুদার কমিশন ১ মার্চ ভোটার দিবস ঘোষণা করেছে। তাই জানুয়ারির পরিবর্তে মার্চ থেকে এখন ভোটার শুরু করেন। তবে খুব কম বছরেই ইসি আইন অনুযায়ী ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে পেরেছে। বেশির ভাগ বছরে নির্বাচনসহ নানা কারণে ভোটার তালিকা হালনাগাদ হয়েছে বছরের সুবিধাজনক সময়ে। তবে হালনাগাদ নিয়ে নানা অনিয়মের অভিযোগও আছে। ঘরে ঘরে না গিয়েই স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী তালিকা পূর্ণ করার ঘটনাও ঘটেছে। ভূতুড়ে ভোটারও পাওয়া গেছে অতীতে ভোটার তালিকায়। এই ইস্যুতে ২০০৬ সালের ২২ জানুয়ারি নির্বাচন বাতিল হয়। তবে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন করার পরও বাড়ি বাড়ি গিয়ে সঠিকভাবে হালনাগাদ করতে পারেনি কমিশন।