উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের জানান, রাত ৮টার দিকে একটি অটোবাইকে করে ক্যাম্প থেকে বালুখালী স্টেশনে যাওয়ার পথে একদল দুর্বৃত্ত আরিফ উল্লাহকে গাড়ি থেকে নামিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। একপর্যায়ে তার গলা কেটে দেয়া হয়। পরে স্থানীয় রোহিঙ্গারা এগিয়ে গেলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে আহত আরিফ উল্লাহকে উদ্ধার করে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি আরো জানান, আরিফ উল্লাহ রোহিঙ্গা সংকটের শুরু থেকে বালুখালী-২ ক্যাম্পে হেড মাঝির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তার খুনের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে কে বা কারা কী কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা নিশ্চিত করতে পারেনি সংশ্লিষ্টরা। তবে পুলিশ ধারণা করছে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
এদিকে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উখিয়া সার্কেল) চাই লাও মার্মা জানান, খবর পেয়ে ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গা নেতা ও হেড মাঝি আরিফ উল্লাহর লাশ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের কারণ ও জড়িতদের ধরতে পুলিশ কাজ শুরু করেছে বলেও জানান তিনি।
এ হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এর আগে গত ২০ জানুয়ারি কক্সবাজারের উখিয়ার তানজিমারঘোনা শরণার্থী শিবিরে দুর্বত্তদের গুলিতে রোহিঙ্গা নেতা মো. ইউসুফ নিহত হন। নিহত ইউসুফ মিয়ানমারের মংডু বলিবাজার ধুনহাই গ্রামের হুক্কাট্টা (চেয়ারম্যান) ছিলেন।
এ ঘটনার মাত্র এক সপ্তাহ আগে (১৩ জানুয়ারি) কুতুপালং মধুরছড়া লম্বাশিয়া ক্যাম্পের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ও মিয়ানমারে ফেরত যাওয়া না যাওয়ার বিষয়ে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে আবুল কাশেমের ছেলে মমতাজ মিয়া (৩৫) ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছিলেন। এ ঘটনায় রোহিঙ্গা মৌলভী আরিফুল্লাহকে পুলিশ আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করে।