ঢাকামঙ্গলবার , ২৭ নভেম্বর ২০১৮
আজকের সর্বশেষ সবখবর

প্রত্যাবাসন ঘিরে ৪ দফা দাবি দিলো রোহিঙ্গারা

প্রতিবেদক
সিএনএ

নভেম্বর ২৭, ২০১৮ ৫:৫৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কক্সবাজার: কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিমপাড় দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকছে রোহিঙ্গারা। বিভিন্ন তথ্যসহ স্মার্টকার্ড তৈরি করার বিষয়ে অনীহা প্রকাশের পাশাপাশি যথাযথ সম্মান ও নিরাপত্তা নিশ্চিত না করলে প্রত্যাবাসনে আগ্রহী নন মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা। এ ছাড়া প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া নিয়ে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলোচনার দাবিও জানিয়েছেন তারা। এসব দাবি দাওয়া নিয়ে ২৬ নভেম্বর থেকে রোহিঙ্গারা টেকনাফ, হোয়াইক্যাং, চাকমারকুল ও উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আন্দোলন শুরু করেছে। আন্দোলনের অংশ হিসেবে আশ্রয় শিবিরের লোকজন ‘ইউএনএইচসিআর’র কর্তৃক স্মার্ট কার্ড তৈরিতে সহায়তা না করার লক্ষ্যে ঘর থেকে বের হচ্ছে না। এমনকি দোকান বন্ধ রেখে তারা সব কাজ থেকেও বিরত রয়েছে। ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে জানা গেছে। এদিকে রোহিঙ্গাদের পক্ষ থেকে ৪ দফা দাবি জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের কাছে চিঠি দিয়েছে রোহিঙ্গা সদস্যরা। দফাগুলোর মধ্যে রয়েছে-
১. রোহিঙ্গা রিফিউজিদের স্মার্ট কার্ড নিতে বাধ্য করা যাবে না।
২. স্মার্ট কার্ড নিতে না চাইলে রোহিঙ্গাদের আটক রাখা যাবে না।
৩. স্মার্ট কার্ডে জাতিগত নাম রোহিঙ্গা উল্লেখ করতে হবে। স্মার্ট কার্ডে ‘জোর পূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক উল্লেখ করা যাবে না।
৪. বায়োডাটা (পারিবারিক তথ্য) সংগ্রহ করা থেকে বিরত থাকতে হবে এবং ইতোমধ্যে যে সব তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে সেগুলো মিয়ানমার সরকারকে প্রদান করা যাবে না।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আমরা মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়েছি শুধুমাত্র রোহিঙ্গা হওয়ার কারণে। তবে রোহিঙ্গা শব্দটির জাতিগত স্বীকৃতি নেই। তাই আমাদের কাছে এটি খুব গুরুত্ব বহন করে। রোহিঙ্গা শব্দটি মিয়ানমার মুছে দিলেও এটি কার্ডে থাকা জরুরি বলে মনে করছেন তারা।
ইউএনএইচসিআর রোহিঙ্গাদের যে সব তথ্য সংগ্রহ করছে ( আঙ্গুলের ছাপ, চোখের ছাপ, জমির কাগজপত্র ), সে সব মিয়ানমার সরকারকে প্রদান করা হবে। প্রত্যাবাসনে এসব তথ্য প্রয়োজন হবে। তবে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির ধারণা এসব তথ্যের আলোকে প্রত্যাবাসনের পর রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন চালানো হবে। তাই তারা এসব তথ্য যাতে মিয়ানমার সরকারকে না দেয়া হয় তার দাবি জানিয়েছে।
টেকনাফ চাকমারকুল রোহিঙ্গা শিবিরে ইনচার্জ মাহবুবুর রহমান ভূইয়া বলেন, রোহিঙ্গাদের ৪ দফা সম্বলিত একটি চিঠি হাতে এসেছে। মূলত এই শিবিরের রোহিঙ্গাদের নতুন করে কার্ড করতে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তাদের ধারণা, এ কার্ডটি প্রত্যাবাসনের জন্য করা হচ্ছে। তাই এ থেকে বিরত থাকতে তারা ঘর থেকে বের হচ্ছে না।
কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কালাম জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছি, সেখানে কিছু দোকান বন্ধ দেখা গেছে। চাকমারকুল রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রতীকী অনশনের কথা শুনেছি, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সম্পর্কিত পোস্ট