দুর্গাপূজার সময় কেউ যেন গুজব ছড়িয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে না পারে, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে বাহিনীর কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদ।
বাঙালি হিন্দুদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজায় নিরাপত্তার বন্দোবস্তু নিয়ে বুধবার ঢাকায় পুলিশ সদর দপ্তরে সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ নির্দেশনা দেন বলে পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বেনজীর বলেন, “কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যাতে কোনো ধরনের গুজব ছড়াতে না পারে, সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।”
বুধবার মহালয়ার মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজার ক্ষণগণনা শুরু হয়েছে। আগামী ১১ অক্টোবর পূজা শুরু হয়ে ১৫ অক্টোবর শেষ হবে।
এবার সারাদেশে ৩১ হাজার ১৩৭টি মণ্ডপে পূজা হবে, এর মধ্যে ঢাকা মহানগরে মণ্ডপ ১৩৭টি। করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজা উদযাপনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বেনজীর বলেন, “বর্তমানে বিভিন্ন ধর্মের মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বেড়েছে। এর ফলে প্রতি বছরই পূজামণ্ডপের সংখ্যা বাড়ছে।”
তিনি পূজায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। স্থানীয়ভাবে পূজা উদযাপন কমিটির নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ ও সমন্বয়ের মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলেন তিনি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পূজার আইন-শৃঙ্খলা মনিটরিংয়ের জন্য পুলিশ সদরদপ্তরে এবং অন্যান্য ইউনিটে মনিটরিং সেল কাজ করবে।
পূজা চলাচলে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি যথাযথ সম্মান যেন প্রদর্শন করা হয়, সেদিকে পূজা উদযাপন কমিটির নেতাদের দৃষ্টি রাখতে বলেন পুলিশ মহাপরিদর্শক।
সভায় পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারাও ছিলেন। তারা পুলিশ কর্তৃক গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।