ঢাকাবুধবার , ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নির্বাচনের পরে সুবিধা নিতে আগাম নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিচ্ছে পুরাতন রোহিঙ্গারা

প্রতিবেদক
অনলাইন ডেক্স

ডিসেম্বর ২৭, ২০২৩ ৯:৫৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

অনলাইন ডেক্সঃ
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থীদের সাথে প্রচার প্রচারণায় অংশ নিচ্ছে পুরাতন রোহিঙ্গা এবং দাগী সন্ত্রাসীরা।যাদের অনেকের সাথে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ততা এবং প্রায় সময় রোহিঙ্গাদের আশ্রয় পশ্রয় দিয়ে ইয়াবা পাচার,বিদেশে মানব পাচার এবং হুন্ডির মাধ্যমে টাকায় পাচার সহ ভয়ংকর অপরাধে জড়িত। এছাড়া আশংকা করা হচ্ছে কক্সবাজারের উখিয়া টেকনাফে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করা হবে নির্বাচনের মিছিল-মিটিং ও জনসভায়।
কক্সবাজার রোহিঙ্গা প্রতিরোধ কমিটির সহ সভাপতি আজিম সওদাগর বলেন,আগামী ৭ জানুয়ারী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্টিত হবে। ইতি মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ সহ অনেক রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা প্রচার প্রচারণা শুরু করেছে। তবে দুঃখের সাথে বলতে চাই আমরা দেখতে পাচ্ছি ইতি মধ্যে পুরাতন রোহিঙ্গারা অনেকে সংসদ নির্বাচনে প্রাথীদের সাথে প্রচারণায় অংশ নিচ্ছে। আবার অনেক পুরাতন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা নানান ভাবে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের সহায়তা করার মধ্যে দিয়ে নির্বাচন পরবর্তী তারা নানান সুযোগ সুবিধা নেওয়া অপেক্ষায় আছে বলে জানা গেছে। তিনি জানান,কক্সবাজার শহরে সব চেয়ে বেশি রোহিঙ্গা উদ্দ্যোশিত এলাকা ৭ নং ওয়ার্ড। আমি ব্যাক্তিগত ভাবে বলতে পারি এখানে অনেক শীর্ষ রোহিঙ্গা নেতা বসাবাস করে। তাদের কাছে এখন বাংলাদেশী এনআইডি,পাসপোর্ট,জন্মনিবন্ধন সব কিছু আছে। যেমন, পাহাড়তলী জিয়া নগর এলাকায় বসাবাসকারী রোহিঙ্গা নেতা রুহুল আমিন সে নিজে রোহিঙ্গাদের অনেক বই লিখেছে দাবী করে। এছাড়া সে নিজেই বলে সে মায়ানমারে বড় রাজনৈতিক নেতা ছিল কিন্তু এখন স্বপরিবারে থাকে এখানে,তাকে দেখেছি সংসদ সদস্য প্রার্থীদের মিটিং মিছিলে নেতৃত্ব দিচ্ছে। এছাড়া সম্প্রতী ইয়াবা সহ গ্রেফতার হওয়া হামিদ এবং হাবিব ও নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে দেখা গেছে। এছাড়া রোহিঙ্গা ইয়াকুব,জহির,শাহআলম,নুরুল ইসলাম, সহ অনেক নির্বাচনী প্রচারণায় কাজ করছে।
শহরের ৫ নং ওয়ার্ডের গুদার পাড়া এলাকার শফিক বলেন,আমাদের এলাকায় রোহিঙ্গা জঙ্গি হিসাবে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া মৌলবী শফিক,হাফেজ জাবের,আনোয়ার সহ অনেক রোহিঙ্গা বাড়ি নির্মাণ করে স্থায়ী ভাবে বসাবাস করছে। তারা বর্তমানে শতাধিক রোহিঙ্গা ব্যাক্তিদের বাংলাদেশী জাতিয় পরিচয় পত্র,নাগরিকত্ব সনদ,জন্ম সনদ করে দিয়েছে। এখন তারাই দেখছি সংসদ নির্বাচনে সরকার দলীয় প্রার্থীর পক্ষে নানান ভাবে প্রচার প্রচরণা চালাচ্ছে। এমনকি তারা নিজেরা খরচ করে ভোট চাইছে।
ঈদগাও এলাকার ব্যবসায়ি মনজুর আলম বলেন,সরকারি ভাবে তদন্ত করে রোহিঙ্গা হিসাবে ঘোষনা দেওয়া তৈয়ব জালাল অনেক সহ ব্যাক্তিরা এখন প্রকাশ্য সংসদ নির্বাচন কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে। এমনকি রোহিঙ্গারা অনেক স্থানীয় ব্যাক্তিদের টাকা দিয়ে তাদের পেছনে হাটাচ্ছে এবং পছন্দের প্রার্থীদের পক্ষে ভোট চাইছে।
ঝিলংজা ইউনিয়নের দক্ষিণ হাজী পাড়া এলাকায় চিহ্নিত রোহিঙ্গা আবুল কালাম,ইউনুচ,জসিম,জহির সহ অনেক রোহিঙ্গা প্রকাশ্য সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছে এমনকি অনেক রাজনৈতিক দলের নেতারা রাতে তাদের অফিস খচর দিতেও দেখা যাচ্ছে। ফলে রোহিঙ্গারা এখন স্থানীয়দের শাষন করার মত অবস্থা বিরাজ করছে।
এ প্রসঙ্গে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম জানান, রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তায় পুলিশের পাশাপাশি এপিবিএন সহ অন্যান্য আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী দায়িত্ব পালন করছে। আর এটা সত্য অনেক রোহিঙ্গা নানান কৌশলে কক্সবাজারের স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে গেছে,তাদের বিরুদ্ধে আমাদের কাজ চলছে। তবে নির্বাচনী কার্যক্রমে যেন কোন রোহিঙ্গা অংশ নিতে না পারে সে বিষয়ে আমাদের টিম কাজ করছে।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানান, স্থানীয় ভাবে হোক বা ক্যাম্পের মাধ্যমে হোক কোন রোহিঙ্গাদের নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশ নিতে প্রমান পাওয়া গেলে সেই প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট