প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ঈদে আমরা জেলে গিয়ে আব্বার সঙ্গে এক ঘণ্টা দেখা করতে পারতাম। ওইটুকুই ছিল ঈদের আনন্দ। আমাদের আসলে জীবনের অধিকাংশ সময়ই তো আব্বা জেলখানায়। ১৬টি ঈদ জেলখানায় কাটিয়েছেন আব্বা।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাভাবিক জীবন থেকে হারিয়ে যাওয়া দিনগুলো নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্রের ঈদের স্মৃতিচারণায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ওই প্রামাণ্যচিত্রে কথা বলেন বঙ্গবন্ধুর ছোট কন্যা শেখ রেহানাও। এটি ঈদের দিন বিভিন্ন টেলিভিশনে প্রচার হবে।
ঈদের স্মৃতিচারণা অনুষ্ঠানের নির্মাতা প্রধানমন্ত্রীর স্পীচ রাইটার নজরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পুরো পরিবারের ত্যাগের চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।
ভিডিও বার্তায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, আব্বা বাইরে থাকতেন তখন আমার মনে হয় মণকে মণ সেমাই রান্না করেও কুলাতে পারতেন না।
শেখ রেহানা বলেন, ছোটবেলায় দেখতাম আব্বা প্রায়ই থাকতেন জেলখানায়। আমাদের কাছে ঈদ ছিল তখন যখন আব্বা জেলখানার বাইরে থাকতেন। মুক্ত থাকতেন। আব্বাও জেলখানার বাইরে, ঈদে এলো এমন হলে তো কথাই নেই। আমাদের হতো ডাবল ঈদ।
বাংলা ও বাঙালির আবেগ আকাঙ্ক্ষা ও মুক্তিসংগ্রামকে এক সুতোয় গাঁথতে জীবনের প্রায় ১৪ বছর জেল জীবন কাটানো শেখ মুজিবের ১৬টি ঈদ কেটেছে কারাগারে। ওই সময় কেমন কাটতো সন্তানদের ঈদ।
মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্মজীবনী ও বঙ্গবন্ধুর জেল জীবন নিয়ে ৩ হাজার ৫৩ দিনের অবলম্বনে তৈরি করা প্রামাণ্যচিত্রের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের সামনে বঙ্গবন্ধুকে তুলে ধরার প্রয়াসে নির্মাণ করা হয়েছে এটি।