ঢাকাসোমবার , ১১ অক্টোবর ২০২১
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ঘটিভাংগাকে মৎস অবতরন কেন্দ্র স্থাপনের দাবী জানান জেলে পরিবার

প্রতিবেদক
সিএনএ

অক্টোবর ১১, ২০২১ ৫:৩৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঘটিভাংগাকে মৎস অবতরন
কেন্দ্র স্থাপনের ন্যায্য দাবী জানান জেলে শ্রমিক পরিবার

ছিদ্দিক আহমদ আতিক

কক্সবাজার জেলার দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর কুতুবজোম ইউনিয়ন একমাত্র যুগ যুগ ধরাই শতভাগ জেলে শ্রমিক নির্ভর একটি ইউনিয়ন। এটি মহেশখালী নয় কক্সবাজারের প্রায় সবাই জানে এটি মহেশখালীর জেলে কিংবা জাইল্যা এলাকা হিসেবে পরিচিত । ঘটিভাংগার আধিম ইতিহাস থেকেইও এই কথাটি জানা যায় যে যুগ যুগ এই ঘটিভাংগা এলাকার সাগরের ফিশিং করে পরিবার পরিজন এর ব্যয়ভার বহন করাই একমাত্র কাজ এই ঘটিভাংগা এলাকার জেলেদের দিয়ে ব্যবসা করে মহেশখালীর কুতুব জোমের এবং কক্সবাজার পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড বিমানবন্দর ৬ নাম্বার ও ফিশারীঘাট মগচিতাপাড়ার অনেক মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে বলে জানা যায়। কিন্তু অদ্যাবধি এই ঘটিভাংগা এলাকার জেলেদের জীবনমান অনুন্নত অবহেলিত পিছিয়ে পড়া জাতি হিসেবে চিহ্নিত। এই ঘটিভাংগা এলাকার আরেকটি শতভাগ জেলে শ্রমিকদের আতুড়ঘর সম্ভাবনাময় ভার্জিন পর্যটন দ্বীপ যেটি নিয়ে সরকার ইতোমধ্যেই ইকো-ট্যুরিজম পরিবেশবান্ধব পর্যটন স্পট হিসেবে ঘোষণা করে বিভিন্ন প্রকারের উদ্বেগ হাতে নিয়েছেন। উন্নয়নের সরকার কে আরো একধাপ এগিয়ে নিতে এই মৎস আহরন ও অবতরনের প্রানকেন্দ্র ঘটিভাংগাতেই মৎস অবতরন ও আহরণ কেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে অত্র অত্র জেলে জাতীর পেশাগত ন্যায্য অধিকার দাবি বাস্তবায়ন করতে মৎস অধিদপ্তর ও সরকারের তদসংশ্লিষ্ট দপ্তরের সকল দায়িত্বে নিয়োজিত নীতি নির্ধারক গনের আন্তরিক সহযোগিতা সুদৃষ্টি কামনা করেন।

সম্প্রতি মহেশখালীর জেলেদের জীবনমান উন্নয়ন ও সহজ সমৃদ্ধ ডিজিটাল আআধুনিকায়ন করতে

বিভিন্ন উদ্যোগ হাতে নিয়েছে।

মৎস্য উঠানো-নামানো এবং ক্রয়-বিক্রয়ের সুবিধার্থে মহেশখালীর মৎস্যজীবীদের ভাগ্য ফিরাতে সরকার মহেশখালীতে একটি মৎস্য আহরণ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছেন। এ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য প্রাথমিকভাবে স্থান যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। স্থান পরিদর্শনের জন্য জাপানী দুই সদস্যসহ মৎস্য অধিদপ্তরের একটি টিম গত (৬ অক্টোবর) সকাল থেকে মহেশখালীর কয়েকটি স্থান পরিদর্শন করেন।

এ পরিদর্শন টিমে ছিলেন, জায়কার সহযোগিতায় জাপানী নাতা হাসি ও ইবেতা, মৎস্য অধিদপ্তরের সাবেক ডিজি এ এম গুলজার, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম খালেকুজ্জামান, মহেশখালী উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবদুর রহমান খান, মেরিন ফিশারিজ অফিসার মো. আলাউদ্দীন আহসান ও উপজেলা মৎস্য অফিসের সহকারী রবি চাকমা।

এ পরিদর্শন টিমটি দুপুরে মহেশখালী ডিজিটাল আইল্যান্ড সেন্টার সংলগ্ন স্থানে মহেশখালী পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব মকছুদ মিয়া’র সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। মেয়র আলহাজ্ব মকছুদ মিয়া উক্ত পরিদর্শন টিমকে স্বাগত জানান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, মহেশখালী উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, মহেশখালী পৌরসভার কাউন্সিলর খায়ের হোসেন, সাবেক কাউন্সিলর এবাদুল করিম বাদল ও জয়নাল আবেদীন।

উক্ত পরিদর্শক টিমের পরিদর্শনকৃত স্থান গুলো হলো-মহেশখালী জেটি সংলগ্ন পুরাতন বি আই ডব্লিউ ঘাট, কুতুবুজমের তাজিয়া কাটাঘাট ও মহেশখালীর একমাত্র ঐতিহাসিক ঐতিহ্যবাহি জেলেদের আআতুড়ঘর ঘটিভাঙ্গা ঘাট।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম খালেকুজ্জামান বলেন, মহেশখালীতে প্রায় ১৭ হাজার জেলে রয়েছে। কয়েকশত বিভিন্ন ধরনের মৎস্য আহরণের বোট রয়েছে। মৎস্য উঠানো-নামানে এবং ক্রয়-বিক্রয়ের সুবিধার্থে মহেশখালীতে স্থাপন করা হবে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, এটি স্থাপন করা হলে এই এলাকার মৎস্যজীবীদের ভাগ্য পরির্বতন হবে।

মহেশখালী কুতুবদিয়ার পরিবেশ বান্ধব পর্যটনবান্ধব সংসদ, মহেশখালী পৌরসভার তিনবার নির্বাচিত সফল মেয়র, এবং ভবিষ্যৎ সমৃদ্ধ ডিজিটাল আধুনিকায়ন কুতুব জোমের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এডভোকেট শেখ কামালের মাধ্যমে

মমতাময়ী মা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নের সরকার জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে

আকুল আবেদন

কুতুবজোম,ঘটিভাংগা, সোনাদিয়ার জেলে শ্রমিকদের প্রানের দাবি

ঘটিভাংগায় মৎস অবতরন ও আহরন করে

ঘটিভাংগা সোনাদিয়ার পর্যটন খাতের সমৃদ্ধি তরান্বিত করতে সদয় মর্জি কামনা জেলে এলাকার সচেতন মহলের।

সম্পর্কিত পোস্ট