নানা অনিয়মে চলছে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি)। ফসলের বীজ থেকে শুরু করে কৃষমের ঘামের টাকও আত্মসাৎ হয়েছে সংস্থাটিতে। বাদ যায়নি সারও। এ নিয়ে বাংলা ট্রিবিউন-এর ধারাবাহিক প্রতিবেদনের দশম পর্ব থাকছে আজ।
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি)-এর সিলেট গুদাম থেকে উধাও হয়েছে মজুত রাখা সার। ৪ দশমিক ৬৫ মেট্রিক টন টিএসপি ও এক দশমিক ৫ মেট্রিক টন ডিএপি সারের হসিদ মিলছে না। সরকারের একটি বিশেষায়িত সংস্থার তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ অনিয়ম। দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ও উধাও হওয়া সার উদ্ধারের সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
তদন্তকারীদের অনুসন্ধানে সিলেট বিএডিসির কদমতলী অফিসের যুগ্মপরিচালকের (সার) ২০১৬-১৯ অর্থবছরের হিসাব নিরীক্ষা করা হয়। এতে ৪ দশমিক ৬৫ মেট্রিক টন টিএসপি এবং ১ দশমিক ৫ মেট্রিক টন ডিএপি সারের ঘাটতি ধরা পড়ে। যার মূল্য প্রায় ১ লাখ ১৭ হাজার টাকা। ২০২০ সালের ১০ জানুয়ারি হতে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত এই তদন্ত পরিচালিত হয়।
তিনটি বিক্রয়কেন্দ্র সারের গরমিল ধরা পড়ে। কেন্দ্রগুলো হচ্ছে- সিলেট, শায়েস্তাগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ। সিলেট সার গুদামে ১ দশমিক ৯ মেট্রিক টন টিএসপি, শায়েস্তাগঞ্জ গুদামে দশমিক ৫ মেট্রেক টন ডিএপি ও সুনামগঞ্জ গুদামে দশমিক ৭৫০ মে. টন টিএসপি, লাউয়াই সার গুদামে ২ মেট্রিক টন টিএসপি এবং সিলেট প্রি-ফেব্রিকেটেড সার গুদামে ০ দশমিক ৫৫০ মেট্রেক টন ডিএপি সারের ঘাটতি পাওয়া যায়।
সরবরাহকারী বা পরিবহনকারী ঠিকাদারের কাছ থেকে এ সার আদায়যোগ্য বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
সারগুলো বিএডিসিকে সরবরাহ করা হয়েছে কিনা তা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। তবে সারের মূল্য পরিশোধ সংক্রান্ত বিল ও ভাউচার চট্টগ্রাম বিএডিসির যুগ্ম পরিচালকের (সার) অফিসে রক্ষিত আছে।
এ অবস্থায় বিএডিসির সংশ্লিষ্ট অডিট প্রতিষ্ঠান বলছে বিএডিসি চট্টগ্রামের দফতরগুলো থেকে সারের ঘাটতি মূল্য সংগ্রহ করে জানানো হবে।
জানতে চাইলে বিএডিসি’র চেয়ারম্যান ড. অমিতাভ সরকার বলেন, ‘এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের জবাব পেয়েছি। জবাবগুলো নিরীক্ষা দলের কাছে পাঠাবো। তারা যদি সন্তুষ্ট হয় তবে বিষয়টির নিষ্পত্তি হবে। মন্ত্রণালয় ও নিরীক্ষা দল যৌথভাবে বসে সমাধান করবে। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তিনি অবসরে গেলেও পেনশন পাবেন না।’