খুরুশকুল পূর্ব হামজার ডেইল অপরাধী দের অভয়ারণ্য
নিজস্ব প্রতিবেদক :
পর্যটন শহর কক্সবাজারের অপার সম্ভাবনায় সদরের খুরুশকুল ইউনিয়ন। এই ইউনিয়ন কে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ সরকারের উন্নয়নের মেঘা প্রকল্পের কাজ দ্রুত চলমান। কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এর সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার এয়ারপোর্টে এর চতুর্পাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসবাসরত বেশ কিছু জলবায়ু উদবাস্তু সহায় সম্বল ও ভুমি কতেক পরিবারকে আশ্রয়নের পদক্ষেপ নেয়।
তারাই দ্বারাবাহিকতায় শহরের ১নং ওয়ার্ড কুতুবদিয়া পাড়ার সমিতি পাড়া, ফদনার ডেইল,ঝিনুক মার্কেট ডায়াবেটিস পয়েন্ট এর বসবাস রত জলবায়ু উদবাস্তুদের খুরুশকুল এ পাহাড়ি বনভূমি উজাড় করে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পরিবেশ এর অসংখ্য পাহাড় নিধন করে তথাকথিত ভুমি অফিসের কিছু চিহ্নিত দালাল চক্রের ও স্থানীয় ভূমিদস্যু বালু খেকো, পাহাড় খেকোদের যোগসাজশে পাহাড় নিধন যজ্ঞের তান্ডবলীলা চালিয়ে জলবায়ু উদবাস্তুদের খুরুশকুল পূর্ব হামজার ডেইল, রুহুল্লার ডেইল,পুলিশশের ঘোনা,সাপের গারায় বসিয়ে দেন। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে এলাকার স্থানীয় মেহেদী পাড়া,টাইম,বাজার,গোয়াহালি,কুলিয়া পাড়া,লামাজি পাড়া,হিন্দু পাড়া,শীল পাড়ার চিহ্নিত সন্ত্রাসী বাহিনী ভূমিদস্যু, পাহাড় খেকো,বালু খেকো সিন্ডিকেট, মাটি বিক্রেতা সিন্ডিকেট চক্রের সদস্যরা দেদারসে আশপাশের পাহাড় বনভূমি উজাড় করে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পরিবেশ নষ্ট করে সরকারি খাস জমি বিক্রির মহোৎসব চালিয়ে অনেকেই লাখপতি বনে গেছেন রাতারাতি।
অনুসন্ধানে জানা যায় উপজেলা ভুমি অফিসের তথাকথিত উমেদারি সার্ভেয়ার সেজে এলাকা ভিত্তিক ভূমিদস্যু, পাহাড় খেকো, বালি বিক্রেতা ও পাহাড়ের মাটি বিক্রেতাদের নিয়ে সিন্ডিকেট করে জলবায়ু উদবাস্তুদের প্লট বরাদ্দের নামে সীমাহীন অনিয়ম ও সরকারি খাস জমি প্লট বিক্রির মহোৎসব চালিয়েছে । পূর্ব হামজার ডেইল, সাপের গারা,রুহুল্লার ডেইল, এবং পুলিশ্যার ঘোনায়।এই সুযোগ শহরের নানান শ্রেণির পেশার মানুষ স্বল্প মুল্যে সরকারি খাস জমির প্লট কিনে বসবাস করতে থাকে তারাই ধারাবাহিকতায় পাহাড় তলী, টেকপাড়া, সমিতি পাড়া, ঘোনাপাড়া, সৈকত পাড়ার, কলাতলী, মকচিতাপাড়ার বিভিন্ন অনিয়ম অপকর্ম দূর্নীতি মাদক কারবারি অসমাজিক কর্মকান্ডের মুল হোতা ও বিভিন্ন মামলার সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্ট আসামির নিরাপদ আশ্রয় স্থল বানিয়েছে।
এই খুরুশকুলে প্রতিদিন প্রতিমুহূর্তে এমন কোন অপরাধ নেই যাহা তারা করতেছে না।সন্ধ্যা নামলেই ছিন্তাই কারী চক্রের ছিন্তাইয়ের স্বীকার হচ্ছে নিরীহ মানুষ। চিহ্নিত সন্ত্রাসী বাহিনী ভূমিদস্যুদের ব্যবহার করে এক শ্রেণীর মানুষ নিয়মিত ফায়দা ও নিয়মিত মাসোহারা নিচ্ছে বলেও জানা যায়। এই মিনি ক্যাসিয়ানো,গাজা, ইয়াবার ছড়াছড়ি বেপরোয়া হয়ে উঠে।থেমে সরকারি খাস জমি বিক্রেতা সিন্ডিকেট চক্রের পাহাড় নিধন যজ্ঞ। অনেকে শুন্য থেকে লাখপতি হয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে আলীশান মহলের মালিক বনে যান। স্থানীয় বিট,রেঞ্জ টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে এসব কর্মকান্ড দেদারসে চালিয়ে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় এলাকার এক শ্রেণীর সচেতন মহলের দাবি এইভাবে চলতে থাকলে আমাদের এই এলাকা বসবাস অনুপযোগী হয়ে যাবে।কিশোর গ্যাং, সন্ত্রাসী, ভূমিদস্যু, পাহাড় খেকো সিন্ডিকেট এর অভয়ারণ্যে পরিনত হবে। এমতাবস্থায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের আইনপ্রয়োগকারী সকল সংস্থার নজরদারি বাড়াতে তদসংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরের আন্তরিক হস্তক্ষেপ কামনা করেন।