সিএনএ ডেক্স :
করোনা পরিস্থিতিতে দেশের নাগরিক ও শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য বিষয়ে ঝুঁকি নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়ে আমরা যে তারিখই নির্দিষ্ট করি না কেন, অবস্থা অনুকূলে না এলে মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে আমরা ঝুঁকি নেবো না। আমরা অনলাইন শিক্ষাব্যবস্থা চালু রেখেছি। যদিও তার সীমাবদ্ধতা আছে, প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। এখন আমরা একটা যুদ্ধের মধ্যে আছি।
স্কুল-কলেজ খুলবে ১৩ জুন শনিবার (২৯ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে নাগরিক সমাজ ও জনতার প্রত্যাশার আয়োজিত আব্দুল মতিন খসরুর স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
যেভাবে চলবে পঞ্চম ও দশম শ্রেণির পাঠদান
দীপু মনি বলেন, আমাদের কাছে শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং অভিভাবক সবার স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। গুরুত্ব দিয়েই আমরা প্রায় এক বছর দুই মাসের বেশি সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রেখেছি। কিন্ত জাতীয় শিক্ষাকার্যক্রম বন্ধ নেই। অনলাইনে পড়াশোনা চলছে। প্রতিদিনের অনলাইন পড়াশোনার মান এবং পরিসর বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আমরা সবাই এতে অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছি। সারা পৃথিবীও অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার চেষ্টা করেছি, কিছুটা খুলেছি। আবার বাধ্য হয়ে বন্ধও করে দিয়েছি। যেখানে ষোলআনা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব, সেখানে কিন্তু সেটি খুলে রাখেনি কেউ। আমরা বিস্তার পরিকল্পনা করেছি, কীভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা যায়। আমাদের সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা হবে, জেএসসি পরিস্থিতি বুঝে
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিশেষজ্ঞরা বলেছেন সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের নিচে না নামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খুলে দেওয়া উচিত নয়। ঈদ যাত্রার কারণে সংক্রমণের হার আবারও কিছুটা ঊর্ধ্বগামী। আমরা বলেছি ১৩ জুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো দিতে চাই। আমরা চেষ্টা করবো। অনেক জায়গা থেকে চাপ আছে, অনেক আন্দোলনের ডাক আছে। তবে সেটি বৃহত্তর ছাত্র সমাজ বা অভিভাবক যারা আছেন, তাদের মতামত প্রতিফলিত করে না।
এবার ‘অটো পাস’ নয়
দীপু মনি বলেন, আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো দ্রুততম সময়ের মধ্যে খুলে দিতে চাই। আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি আছে। অবশ্যই করোনা পরিস্থিতিতে আমাদের মাথায় রাখতে হবে। যখনই আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলি না কেন, আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে খুলতে পারবো।
২০২২ সালের এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি প্রকাশ
স্মরণ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন প্রমুখ।৷