কক্সবাজারে র্যাব ও বিজিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ রোহিঙ্গাসহ দুই মাদক কারবারি নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) দিনগত রাতে ও শুক্রবার (১৬ জুলাই) ভোরে উখিয়া ও টেকনাফে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের নলবনিয়া গ্রামের জালাল আহমদের ছেলে লুৎফর রহমান লুতু (৩৮) ও টেকনাফ জাদিমোড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি ব্লকের বশির আহমদের ছেলে হাশেম উল্লাহ (৩৩)।
র্যাব টেকনাফ ক্যাম্পে দায়িত্বরত সহকারী পুলিশ সুপার বিমান কুমার কর্মকার জানান, ভোরে টেকনাফের জাদিমুড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একটি পাহাড়ের পাদদেশে ডাকাত দলের মধ্যে গুলাগুলির খবর পেয়ে র্যাব ঘটনাস্থলে পৌঁছায় র্যাব সদস্যরা। এসময় ডাকাতরা র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি করে। র্যাবও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি করে। একপর্যায়ে ডাকাতরা পিছু হটতে বাধ্য হন। পরে ঘটনাস্থল থেকে র্যাব বিপুল পরিমাণ অস্ত্র-মাদকসহ গুলিবিদ্ধ হাশেম উল্লাহকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষণা করেন।
অপর দিকে ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক আলী হায়দার আল আজাদ জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের নলবনিয়া এলাকায় চিংড়ী ঘেরে মাদক কারবারি ও বিজিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে। এতে লুৎফর রহমান লুতু নামে এক মাদক কারবারি ঘটনাস্থলে নিহত হয়। তার বিরুদ্ধে থানায় ১২টি মামলা রয়েছে।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫০ হাজার পিস ইয়াবা, দুইটি দেশীয় তৈরি অস্ত্র, একটি বিদেশী পিস্তল, বিপুল পরিমাণ ম্যাগাজিন ও গুলি উদ্ধার করা হয়।
তবে নিহত লুতুর পরিবারের দাবি, বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটার দিকে বিজিবির কয়েকজন সদস্য বাড়িতে গিয়ে লুৎফর রহমানকে ধরার চেষ্টা করেন। টের পেয়ে লুতু দৌড়ে পালিয়ে পাশের একটি চিংড়ি ঘেরে লাফ দেন। এসময় বিজিবির সদস্যরা তার ওপর এলোপাথাড়ি গুলি বর্ষণ করেন। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে লুৎফর রহমানের মৃত্যু হয়।
নিহতের কাছে অস্ত্র বা ইয়াবা কিছুই পাওয়া যায়নি দাবি করে নিহতের বড় ভাই মোস্তাক আহমেদ বলেন, গত বছর নুরুল আলম নামের বিজিবির এক সদস্যের সঙ্গে তর্কের জের ধরে তার ভাইকে শত শত মানুষের সামনে দিনদুপুরে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।