জসিম সিদ্দিকী, কক্সবাজার: কক্সবাজারে ভারী বর্ষণে পাহাড় ধসে একই পরিবারের চার শিশুসহ পাঁচজন নিহত হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছে আরও ২ জন। তাদের কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ২৫ জুলাই ভোররাতে কক্সবাজার শহরের রুমালিয়ারছড়ার বাঁচামিয়া ঘোনায় একই পরিবারের চারজন ও রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি পানেরছড়া এলাকায় একজন নিহত হয়েছে।
নিহতরা হলেন, কক্সবাজার শহরের রুমারিয়ারছড়ার বাঁচামিয়া ঘোনা এলাকার জামাল হোসেনের শিশু সন্তান আব্দুল হাই (৮), খাইরুন্নেছা (৬), কাফিয়া আক্তার (১০) ও মর্জিয়া আক্তার (১৫)। এই ঘটনায় তাদের মাও গুরুতর আহত হয়েছেন।
নিহতদের মামা খোরশেদুল আলম সংবাদকে জানান, ভোরে উঠে মা বাড়ির বাইরে কাজ করছিলেন। এ সময় হঠাৎ বাড়ির পাশের পাহাড় ধসে বাড়ির উপর পড়ে। এতে ঘুমন্ত ৪ শিশু মাটির নিচে চাপা পড়ে। এ ঘটনায় মা চিৎকার দিলে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। এসময় স্থানীয় মসজিদের মাইকিং করে মানুষ ডাকা হয়।
এদিকে রাতে রামুর দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের পানেরছড়া এলাকায় পাহাড় ধসে জাগির হোসেনের ছেলে মোরশেদ আলম (৬) নিহত হয়েছে। এ সময় জাগির হোসেনও আহত হন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আফরুজুল হক টুটুল জানান, রাতভর ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে কক্সবাজার শহরের বাঁচামিয়া ঘোনায় ৪ জন ও রামুর দক্ষিণ মিঠাছড়িতে ১ শিশু নিহত হয়েছে। নিহতদের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। তিনি আরও জানান, জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
কক্সবাজার জেলার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক কাজি আব্দুর রহামান জানান, ‘পাহাড় ধসের ঘটনায় আমরা শোকাহত। আমিসহ জেলা প্রশাসনের লোকজন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করব। এ ছাড়া নিহতদের পরিবারগুলোকে ২০ হাজার করে টাকা প্রদান করা হবে।’
এদিকে কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান জানান, ‘গত ২ দিন ধরে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে ২২৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একই সঙ্গে ভূমি ধস ও বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সাগর উত্তাল রয়েছে।