এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে প্রেমিকসহ দুই রোহিঙ্গা যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতাররা হলেন, মধুরছড়া ক্যাম্প এলাকার আহসান শরিফের ছেলে এনামুল হক (২০) ও আব্দুর রহমানের ছেলে মো. ইদ্রিস (১৮)।
রোববার বিকেলে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে হত্যার দায় স্বীকার করে তারা জানান, ঘরে ঢুকে তাকে গলাটিপে হত্যা করা হয়।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অাবুল খায়ের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নিহত পেঠানের স্ত্রীর সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল গ্রেফতার এনামুল হকের। কিন্তু তাকে রেখে পেঠানকে বিয়ে করেন প্রেমিকা। এটি সহজভাবে নেননি প্রেমিক এনামুল। সুযোগের অপেক্ষায় থেকে রোববার ভোররাতে তাদের ঘরে ঢুকে পেঠানকে গলাটিপে হত্যা করে এনামুল ও তার সহযোগী ইদ্রিস। রোববার দুপুরে হত্যার বিষয়টি প্রকাশ পায়। আর বিকেলেই পুলিশ গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে। এ সময় হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে এনাম ও ইদ্রিসকে ধরা হয়।
ওসি বলেন, এ ব্যাপারে একটি হত্যা মামলার পর তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়। সেখানে তারা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। মরদেহটি ময়নাতদন্তের পর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এদিকে, নামপ্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় রোহিঙ্গারা জানান, আধিপত্য বিস্তার ও অপকর্মকে কেন্দ্র করে উখিয়ার ২০টি ক্যাম্পে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি চলাচ্ছে কিছু রোহিঙ্গা। লেগেই আছে ধর্ষণ, হত্যা ও মারামারি। এসব ঘটনায় রোহিঙ্গা নেতা আরিফুল্লাহসহ এ পর্যন্ত প্রায় ১০ জন খুন হয়েছেন। হাতেগুনা কিছু রোহিঙ্গা এসব অপরাধ কর্ম করে বেড়ালেও অধিকাংশ রোহিঙ্গা আতঙ্কে রয়েছে।