ঢাকাবুধবার , ১২ জানুয়ারি ২০২২
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ইতিহাসের উষ্ণতম বছর পার করেছে বিশ্ব

প্রতিবেদক
অনলাইন ডেস্ক

জানুয়ারি ১২, ২০২২ ১:৩১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

টানা সাত বছর ধরে ইতিহাসের উষ্ণতম বছর পার করেছে বিশ্ব। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিজ্ঞানীদের গবেষণায় উঠে এসেছে এ তথ্য। ইইউ’র কোপারনিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস বলছে, বায়ুমণ্ডলে মিথেন গ্যাসের পরিমাণ দ্বিগুণ হারে বাড়ছে।

কপ-২৬ সম্মেলনকে বলা হচ্ছিল বিশ্বকে বাঁচানোর শেষ চেষ্টা। বিশ্ববাসীর প্রত্যাশা ছিল, জলবায়ু পরবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে বিশ্বকে বাঁচাতে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে সংশ্লিষ্টরা।

কিন্তু সে আশায় গুড়ে বালি। গত বছর স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে সম্মেলনের ফল নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে জাতিসংঘ। সম্মেলনকে ব্যর্থ বলে আখ্যা দেয় পরিবেশবাদীরা।

২০২১ সালে ইউরোপে বিশেষ করে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে বেড়েছে তাপমাত্রা । ইইউর জলবায়ু পর্যবেক্ষণ কর্মসূচি কোপারনিকাসের প্রতিবদেনে ওঠে এসেছে এ তথ্য।

১৯৯১ থেকে ২০২০ সালের গড় তাপমাত্রার তুলনায় ২০২১ সালের তাপমাত্রা দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল। বিশ্বের কিছু অঞ্চল জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব খুব খারাপভাবে অনুভব করেছে।

কোপারনিকাস এর পরিচালক ভিনসেন্ট-হেনরি পিউচ জানান, ২০২১ সাল আমাদের কাছে একটি উষ্ণতম বছর হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এখন পর্যন্ত আমরা যতোগুলো বছর পর্যবেক্ষণ করেছি, তার মধ্যে সেরা পাঁচে রয়েছে এ বছরটি।

গত সাত বছর ধরে বিশ্ববাসী ৭টি উষ্ণতম বছর পার করলেও, ২০১৫ ও ২০১৮ সালে তাপমাত্রা তুলনামূলক কম ছিল।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন মানে শুধুই তাপমাত্রা বৃদ্ধি নয়। গ্রীষ্মকালে জার্মানি ও ইউরোপের অন্যান্য অংশে ভারী বৃষ্টি ও বিধ্বংসী বন্যার মতো চরম আবহাওয়া এর কারণ।

অপ্রত্যাশিত তথ্য খুঁজে পেয়েছেন কোপারনিকাসের বিজ্ঞানীরা। টানা দ্বিতীয় বছরের মতো বায়ুমণ্ডলে মিথেন গ্যাস বৃদ্ধির হার স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে দ্বিগুণ ছিল।

কোপারনিকাস এর পরিচালক ভিনসেন্ট-হেনরি পিউচ আরো জানান, বায়ুমণ্ডলে মিথেনের ঘনত্ব আমরা যা আশা করেছিলাম তার চেয়েও দ্বিগুণ। সুতরাং এটি উদ্বেগের কারণ। মিথেন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ গ্রিনহাউস গ্যাস। দুশ্চিন্তার বিষয় হচ্ছে, এটা আমরা এখনও সঠিক বুঝতে পারছি না।

বাতাসে মিথেন মাত্র কয়েক বছর স্থায়ী হয়। আর কার্বন ডাই অক্সাইড শতাব্দীর পর শতাব্দী থাকে। বাতাসে মিথেনের চেয়ে ২০০ গুণ বেশি কার্বন ডাই অক্সাইড রয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্বজুড়ে মানুষের জীবনকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করছে। কারণ প্রাকৃতিক দূর্যোগ আরো ভয়াবহ হচ্ছে।

সম্পর্কিত পোস্ট