কক্সবাজার:সারাদেশে ইয়াবা পাচারের জন্য ২ হাজার রোহিঙ্গাকে ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী সাইফুল করিমের বিরুদ্ধে। জানা গেছে, টেকনাফের শিলবনিয়া পাড়ার বিশাল প্রাচীরে ঘেরা নিজের বাড়ি থেকে রোহিঙ্গাদের দিয়ে দেশব্যাপী ইয়াবা পাচার করতেন তিনি। গত শুক্রবার সাইফুল করিমের টেকনাফের বাড়ি থেকে ইয়াবা নিয়ে যাওয়ার সময় ২ রোহিঙ্গা আটকের পর বের হয়ে আসে এসব তথ্য। এই ঘটনায় আটক ২ রোহিঙ্গাসহ সাইফুল করিমের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
দীর্ঘ এক দশক ধরে বাংলাদেশে ইয়াবার ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করলেও রহস্যজনক কারণে তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের কোনো থানায় মামলা হয়নি। এই প্রথমবারের মতো টেকনাফ থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হলো। টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, গত শুক্রবার দুপুরে টেকনাফ স্টেশনের ঝরণা চত্বর থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৯০০ ইয়াবাসহ ২ রোহিঙ্গা শফি (৪৫) ও ফাতেমা বেগম (৬৫) কে আটক করা হয়। তাদের থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা জানায় ইয়াবাগুলো টেকনাফের শীলবনিয়াপাড়ার হানিফ ডাক্তারের ছেলে শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী সাইফুল করিমের কাছ থেকে এনেছিল। আটককৃত ২ জন জিজ্ঞাসাবাদে আরও স্বীকার করে যে, সাইফুল করিম দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গাদের দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ইয়াবার চালান পাচার করে আসছে। ইয়াবা পাচারের জন্য সাইফুল করিমের বিশাল রোহিঙ্গা বাহিনী আছে। এদের ব্যবহার করেই সাইফুল সারা দেশে ইয়াবা পাচার করে।
উল্লেখ্য, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইয়াবা ব্যবসায়ীদের তালিকায় সাইফুল করিমসহ তার আরও ৫ ভাইয়ের নাম রয়েছে। শীর্ষ এ ইয়াবা ব্যবসায়ীকে ধরতে পুলিশ প্রায়ই অভিযান চালাচ্ছে। কিন্তু তাকে রহস্যজনক কারণে বার বার ধরা ছোয়ার বাইরে রয়ে গেছে।