র্যাব-৭ এর উপ-অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার সাফায়াত জামিল ফাহিম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ৩টা থেকে চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ থানার সোনা পাহাড় গ্রামের ‘চৌধুরী ম্যানসন’ নামে ওই বাড়িতে অভিযান শুরু করে র্যাব-৭। অভিযান শুরুর পর র্যাবের সঙ্গে গুলি বিনিময় ও বেশ কয়েকটি বোমা বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়।
পরে বাড়িটিতে শক্তিশালী বোমা ও অস্ত্র মজুদ থাকতে পারে ধারণা করে ঢাকা থেকে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে চট্টগ্রাম নেয়া হলে সকালে আবারও অভিযান শুরু করেছে র্যাব।
র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান সাংবাদিকদের জানান, জোরারগঞ্জের সোনাপাহাড় গ্রামে ‘চৌধুরী ম্যানসন’ নামের বাড়িটিতে জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) আস্তানা ছিল।
র্যাব-৭ এর উপ-অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার সাফায়াত জামিল ফাহিম জানান, পুনরায় অভিযান শুরুর পর ‘চৌধুরী ম্যানসন’-এর ‘জেএমবি আস্তানা’র বাইরে থেকে পরিত্যক্ত একটি বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া দুইজনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে তিনি জানিয়েছিলেন, কয়েকদিন আগে ‘জঙ্গি’ সদস্যদের এ বাড়ি ভাড়া নেয়ার তথ্য র্যাবের কাছে আসে। র্যাব জানতে পারে, চট্টগ্রামে বড় ধরনের জঙ্গি হামলার লক্ষ্যে একজন নারীসহ অন্তত চার সদস্যের একটি দল এ বাড়ি ভাড়া নিয়েছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার ভোররাতে একতলা এ বাড়িতে অভিযান চালায় র্যাব-৭।
তিনি আরও জানান, অভিযানের শুরুতে রাত সাড়ে ৩টার দিকে প্রথমে বাড়িটি ঘিরে ফেলা হয়। এ সময় র্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে বাড়ির ভেতর থেকে গুলি ছোড়া হয়। র্যাবও পাল্টা গুলি ছুড়ে। রাত ৪টার দিকে বাড়ির ভেতরে বিকট শব্দে তিন-চারটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এতে বাড়িটির ছাদের একটি বড় অংশ উড়ে প্রায় ৩০ গজ দূরে পরে। ধারণা করা হচ্ছে, বাড়ির ভেতরে থাকা ‘জঙ্গি’দের কেউ বেঁচে নেই।