অনলাইন ডেক্সঃ
কক্সবাজার শহর ও কলাতলী কটেজ এলাকার শীর্ষ অবৈধ ব্যবসায়ী রুস্তম আলী।
শত অপরাধ করেও প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করে প্রকাশ্য ইয়াবা, মানব পাচার, ভূমিদস্যুতা,কটেজ ও হোটেল ব্যবসার আড়ালে চালিয়ে যাচ্ছে অনৈতিক কর্মকাণ্ড । তার বিরুদ্ধে মাদক, মানব পাচারসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
রুস্তম আলী বাংলাদেশের বিভিন্ন পান্থ থেকে তার গঠিত দালালের মাধ্যমে সুন্দরী তরুণীদের সংগ্রহ করে দেহ ব্যবসা চালাচ্ছেন বলে সুনিদিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। নারী পাচার, মাদক, সন্ত্রাস, মানবপাচারসহ ১০-১২ টি মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। রয়েছে ১৫-২০ সদস্যের অপরাধী সিন্ডিকেট।
শহরের লালদীঘি পাড়ের নজরুল বোড়িং ও শহরের লাইট হাউস পাড়ার আমীর ড্রীম নামে দুটি হোটেল ভাড়া নিয়ে রুস্তম আলী চালিয়ে যাচ্ছেন অনৈতিক কর্মকাণ্ড। এসব অপরাধ কর্মকাণ্ড করতে গিয়ে একাধিক মামলায় জেলও খেটেছেন রুস্তুম আলী। এক সময়ের হোটেল বয় এখন অপরাধ জগতের গ্যাং লিডার। গ্রাম থেকে শহরে আসা উঠতি বয়সী বখাটে যুবকদের জড়ো করে সংগঠিত করছেন নানা অপরাধ। তার এহেন কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ শহরবাসী।
শহরের এক ব্যবসায়ী জানান, রুস্তুম ও তার বাহিনীর বখাটেরা শহরের ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও তার হোটেলে তুলে ব্ল্যাকমেইল করে সবস্ব ছিনিয়ে নিচ্ছেন সাধারণ মানুষের।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন আইনজীবীর অভিযোগ, রুস্তমের অনুগত অপরাধীরা পুরো শহর জুড়ে। সদ্য জেল ফেরত রুস্তম আলী তার বাহিনীর মাধ্যমে প্যারাবন উজাড় করে বাঁকখালী নদীর কস্তুরাঘাট পয়েন্টে তৈরি করেছে স্থাপনা। শুধু তাই নয়, শহরের যে কোনো অপরাধের পেছনে রয়েছে তার হাত। রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে তরুণীকে হোটেলে তুলে দিবারাত্রি চলে রমরমা দেহব্যবসা আর মাদকের আসর।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে প্রমাণ পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।