সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক নারীর সঙ্গে পরিচয়ই কাল হলো রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন-১৪) সদস্য কনস্টেবল ফরহাদের। ওই নারীর দায়ের করা ধর্ষণচেষ্টার মামলায় এখন কারাগারে তিনি।
শনিবার (৩১ জুলাই) রাতে আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
মো. ফরহাদ কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত এপিবিএন-১৪ এর কনস্টেবল। শনিবার বিকেলে তার বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় মামলাটি লিপিবদ্ধ হয়। সন্ধ্যায় তাকে করোনাকালীন বিশেষ আদালতে সোপর্দ করা হয়।
সূত্র জানায়, কর্মস্থলে কাজের ফাঁকে ফরহাদের সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় উখিয়ার এক নারীর। সেই পরিচয় থেকেই তাদের মাঝে অন্তরঙ্গ বন্ধুত্ব হয়। সাক্ষাৎও করেছেন তারা। হঠাৎ তাদের সম্পর্কের অবনতি হয়। সেই সূত্র ধরেই ওই নারী শনিবার কনস্টেবল ফরহাদের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় ধর্ষণচেষ্টা মামলা করেন।
মামলাটি আমলে নিয়ে তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়। করোনাকালীন বিশেষ আদালতের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। রাতেই তাকে কক্সবাজার জেলা কারাগারে পাঠানো হয় বলে নিশ্চিত করেন কক্সবাজার আদালতের ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ সনজুর মোরশেদ বলেন, ভিকটিম তার অভিযোগের বিষয়ে কিছু প্রমাণ উপস্থাপন করায় এপিবিএন-১৪ এ কর্মরত কনস্টেবলের বিরুদ্ধে মামলাটি আমলে নিয়েছি।
তিনি বলেন, আইন সবার জন্য সমান, এটা আমরা সবসময় লালন করি। অভিযুক্ত ফরহাদকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ভিকটিম নারী স্থানীয়, এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে চাননি ওসি সনজুর।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে এপিবিএন-১৪ অধিনায়ক (এসপি) মো. নাইমুল হকের মোবাইলে বেশ কয়েকবার কল করা হয়। রিং হলেও তিনি ফোন ধরেননি। পরে ক্ষুদেবার্তা পাঠালেও কোনো উত্তর দেননি।
কক্সবাজার জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক (সুপার) নেছার আলম জানান, এক নারীর মামলায় এক পুলিশ সদস্যকে শনিবার রাতে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।