“নারী জাগরণ”
কলমে-আশীষ মণ্ডল
তুমি জাগো মা গো,,,
একবার জাগিয়া উঠিয়া,
নয়ন মেলিয়া চাহিয়া দেখো।
তব সন্তান কাঁদিয়াছে অবিরাম।
তব বিনা এই সুন্দর ভূবনে,
কে বা পুরাইবে মনস্কাম।
তব শক্তি অবিনেশ্বর,,
কেবা জানিতে পারে।
তুমি মা ! কমলের কামিনী,
কৈলাশে উমা হয়া শিবঘরনী।
সর্বনারীত্বে তব শক্তিদায়নী,
মা হয়া বিশ্বসংসার চালাও তুমি।
কালব্যাধি তব দ্বারা সৃষ্টি মহীতে,
তোমা হইতে মহাঔষধ ও মিলিবে।
রাবন সৃষ্টি করিয়াছো তুমি,,
তব দ্বারা আবির্ভূত প্রভু শ্রীরাম
তুমি ই করিয়াছে মহাপ্রলয়
সৃষ্টি বীজ হাতে লয়ে,,
স্থাপন করিয়াছো,, ধর্মের সংগ্রাম।
অভিমূন্য কাঁদিছে ,,
কর্ণের রথ চক্র মেদিনী গ্রাস
করিয়াছে,
ভীষ্মের শরশয্যা অর্জুনের ,,,
মহামায়ার স্থুল চাদর ছিন্ন
করিয়াছ তুমি !
অহংকার নাশিতে কৌরবকুলে এব
কেহ নেই।
নারী জাতির আদর্শ তোমা হতে
সৃষ্টি,, তুমি মা !
কখনো দশভূজা, কখনো চতুভূজা
কখনো দ্বি ভূজা হয়ে বিরাজ
করো অভুক্ত সন্তানের ক্ষুধা
নিবারণের জন্য তব রূপ কথা
কেবা কহিতে পারে।
কালীঘাটে কালী তুমি,
কৈলাশে উমা,,
বৃন্দাবনে রাধারানী,,
রামপ্রসাদের নিকট শ্যামা।
তুমি অনন্ত !
বিশ্বপ্রস্ববিনী অন্নদায়নী ব্যাধিনাশিনী,,
বিপদ তারিনী মা দূর্গা,,
তুমি জাগো মা গো,,, একবার
নয়ন মেলিয়া চাহিয়া দেখো।
বাবা নির্দয় গেছেন ভুলিয়া
সন্তান কাঁদিছে হেতা,
কেমনে থাকিবে তুমি নীরব।
অবলা শিশু যাইবে কাহার কাছে
তব বিনা আপন কেহ নাহি
ধরাতটে।
তাই তো ,,পদকর্তা কহিছে গানের সুরে ,
জাগো,, জাগো,,
ত্রিশূল ধারিনী দেবী দূর্গা।
দশপ্রহারিনী,,অভয়দায়িনী,,
দক্ষরাজ কন্যা করো অসুর সংহার।
জাগিয়া তলো নারী সত্বা,,
জাগো,, জাগো,,মা ঘুচিয়া দাও
মনের অহং,,
পূর্ণ হউক ধরায় “নারী জাগরণ”
—-০—