বিশেষ প্রতিবেদক : কক্সবাজার বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে বোটডুবির ঘটনায় উদ্ধার দুই জেলের মৃতদেহ গত দুইদিন ধরে পড়ে রয়েছে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের হিমঘরে। মঙ্গলবার কক্সবাজার শহরের সী-ইন পয়েন্ট এবং ইনানী সমুদ্র সৈকত থেকে উদ্ধার মৃতদেহ দুটির পরিচয় সনাক্ত না হওয়ায় এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। মৃত ব্যক্তিদ্বয়ের পোশাক দেখে তারা জেলে বলে ধারণা করা হলেও চারদিন আগে ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ জেলে পরিবারের কেউ এসে লাশের ওয়ারিশ দাবি করেনি। হতভাগ্যদের পরিচয় বৃহস্পতিবার বিকালের মধ্যে জানা না গেলে বেওয়ারিশ হিসাবে তাদের দাফন করা হবে জানিয়েছে পুলিশ।
কক্সবাজার সদর থানার ওসি ফরিদউদ্দিন খন্দকার জানান, মঙ্গলবার কক্সবাজার শহরের সী-ইন পয়েন্ট এবং উখিয়ার ইনানী সমুদ্র সৈকত থেকে উদ্ধার মৃতদেহ দুটি বোটডুবির ঘটনায় নিখোঁজ দুই জেলের বলে ধারণা করলেও বুধবার রাত পর্যন্ত তাদের কোন দাবিদার পাওয়া যায়নি। ফলে মরদেহ দুটি দুইদিন ধরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের হিমঘরেই পড়ে রয়েছে। মরদেহের পরিচয় সনাক্তে নিখোঁজ ট্রলার মালিকদের কাছেও খবর পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালের মধ্যে মরদেহ দুটির কোন দাবিদার পাওয়া না গেলে বেওয়ারিশ হিসাবেই তাদের দাফন করা হবে।
শনিবার রাত থেকে সোমবার পর্যন্ত কক্সবাজার বঙ্গোপসাগরে ৩০টি বোটডুবির ঘটনায় এই পর্যন্ত তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার হলেও মাত্র একজনেরই পরিচয় সনাক্ত হয়েছে। তিনি চৌফলদন্ডির বাবুল কোম্পানীর বোটের জেলে ছিলেন। রবিবার বোটডুবিতে বাবুল কোম্পানীর দুটি বোটসহ চৌফলদন্ডি এলাকার ১৫টি ফিশিং ট্রলার ডুবে যায়। এই ঘটনায় বুধবার পর্যন্ত ৭০ জন জেলে নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানান কক্সবাজার জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহামদ। তিনি জানান, মঙ্গলবার উদ্ধার মরদেহ দুটি চৌফলদন্ডির নিখোঁজ জেলেদের কারো কীনা তা সনাক্ত করতে খবর পাঠানো হয়েছিল। তবে দুইদিনেও তাদের পরিচয় সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।এদিকে মরদেহ দুটি রোহিঙ্গা জেলেদের কারো হতে পারে বলেও সন্দেহ অনেকের। কারণ কক্সবাজারের মাছ ধরা পেশায় নিয়োজিত জেলেদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ হল রোহিঙ্গা।