বিন্না ঘাস, মাটির উপরের অংশ দেখতে ছনের পাতার মত হলেও এ ঘাসের শেকড় প্রায় থেকে ১৪ ফুট পর্যন্ত মাটির গভীরে চলে যায়। এই শেকড়ের সহনশীলতা ইস্পাতের ছয় ভাগের এক ভাগ, যা পাহাড়ের ক্ষয় রোধ করে এবং পাহাড় ধস ঠেকাতে কার্যকর ভূমিকাও রাখে। বুধবার সকালে চট্টগ্রাম মহানগরীর টাইগারপাসে মিঠা পাহাড়ের পাদদেশে বিন্না ঘাস লাগানোর কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন থাইল্যান্ডের রাজকুমারী মহা চকোরি শ্রীনিধরণ।
চট্টগ্রামের মত পাহাড় ঘেরা অঞ্চলসহ, টেকনাফ, উখিয়ার পাহাড়গুলোতে এ ধরণের ঘাস প্রতিকূল পরিবেশেও বেঁচে থাকতে পারে বলে জানান এর উদ্ভাবক বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভাবক অধ্যাপক শরীফুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত পানপিমন সুয়ানাপংস আশা প্রকাশ করে বলেন, বিন্নাঘাস রোপন প্রকল্প এ এলাকার পাহাড় ক্ষয়রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
চট্টগ্রাম নগরীর সব পাহাড়ে পর্যায়ক্রমে বিন্নাঘাস লাগানো হবে বলে জানান, নগরপিতা আ জ ম নাছির উদ্দিন। নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে এ ঘাস ভূমিকা রাখবে বলেও তিনি মত প্রকাশ করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পানি সম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, থাই দূতাবাসের চট্টগ্রামের কনস্যুলার হুমায়ন আহমেদসহ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও প্রশাসনের উধ্বর্তন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।