সিএনএ ডেক্সঃ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু না হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। বিষয়টিকে দুঃখজনক মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আমরা জোর করে কিছু করতে চাই না। তবে প্রত্যাবাসনে যারা বিরোধিতা করছে, তাদের চিহ্নিত করা হবে। ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আজ তো আশা করেছিলাম প্রত্যাবাসনটা শুরু হবে। স্বল্প আকারে হলেও শুরু হবে।’
এরপরও আশায় বুক বেঁধে থাকার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ সমস্যাটা তৈরি করেছে মিয়ানমার। সমস্যার সমাধানও তাদের ওপরে। আমরা জোর করে কিছু করতে চাই না।’
ফেরত না যাওয়ার জন্য যারা প্ররোচনা দিচ্ছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অবশ্যই আমরা নেবো। যারা না যাওয়ার জন্য লিফলেট দিচ্ছেন, প্রচারণা চালাচ্ছেন, আমরা তাদের চিহ্নিত করছি। এবং অনেক প্রতিষ্ঠান বলছে যাওয়া ঠিক হবে না, ইংরেজিতে তাদের দাবি লিখে দিচ্ছে। অবশ্যই আমরা তাদের চিহ্নিত করবো।’
প্রত্যাবাসন ব্যর্থ হওয়াকে কীভাবে দেখছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি এটাকে দুঃখজনক বলি। পরবর্তীতে আমরা চিন্তাভাবনা করবো কীভাবে তাদের পাঠানো যায়।’
রোহিঙ্গাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে এত আরাম থাকবে না। এখন তো অনেকে সাহায্য দেয়। আমরা প্রায় আড়াই-তিন হাজার কোটি টাকা নিজেদের তহবিল থেকে খরচ করছি। ভবিষ্যতে সেই টাকা এত থাকবে না। তখন সমস্যা হবে।’ যারা যেতে চাচ্ছেন না তাদের নিজেদের ভবিষ্যতের জন্য যে ফিরে যাওয়া দরকার, এটা তাদের ভাবা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের জায়গা দিয়ে বাংলাদেশ ভুল করেছে কিনা জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এটার ভালো-মন্দ দুই দিকই আছে। আমরা আশা করেছিলাম আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র তাদের কথা রাখবে। আগে কিন্তু তারা কথা রেখেছিল। ’৭৮ সালে ও ’৯২ সালে তারা তো রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিয়েছিল।’
রোহিঙ্গাদের দাবির বিষয়ে মোমেন বলেন, ‘আমরা তো তাদের দাবির কাছে জিম্মি হয়ে থাকতে পারি না। তাদের দাবি নিজের দেশে গিয়েই অর্জন করতে হবে।’
সুত্রঃ বাংলা ট্রিবিউন