জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে চট্রগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে চকরিয়ায় থানা পুলিশের অভিযানে ১হাজার ২০০ ইয়াবাসহ একটি ব্যবহৃত প্রাইভেট নোহা (বক্সি) গাড়ির চালকসহ ৩ পাচারকারীকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ এ সময় ইয়াবা পাচারকাজে ব্যবহ্নত নোহাগাড়ি ঢাকা মেট্রো-গ-২৬-৮৭২৬ থেকে তল্লাশি চালিয়ে এসব ইয়াবা উদ্ধার করে।পাচার কাজে ব্যবহ্নত গাড়িটি জব্দ করা হয়েছে। ধৃত পাচারকারী হলেন, টেকনাফ উপজেলার সদর ৭নম্বর ওয়ার্ডের হাজম পাড়া এলাকার শামসুল আলমের পুত্র সাদ্দাম হোসেন (২৫), তার সহকর্মী সদর ৫নম্বর ওয়ার্ডের ডেইল পাড়া এলাকার বশির আহমদের পুত্র মো: ইসমাঈল (২৮) ও সদর ৬নম্বর ওয়ার্ডের একই এলাকার আবদুল গফুরের পুত্র মনির আলম (২৭)।
শুক্রবার (২৫মে) রাত দেড়টার দিকে কক্সবাজারের মহাসড়কস্থ উপজেলার ফাঁসিয়াখালী হাসেরদীঘি রাস্তার মাথা নামক এলাকায় থানা পুলিশের একটি টীম তল্লাশি চালিয়ে এসব ইয়াবাসহ নোহাগাড়ি জব্দ করে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত্রে চকরিয়া থানার উপপরিদর্শক (এস আই) রুহুল আমিনের নেতৃত্বে সঙ্গীয় পুলিশ নিয়ে একটি টীম মাদক উদ্ধারে অভিযানে যায়। চট্রগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়াস্থ হাসেরদীঘি রাস্তার মাথা এলাকায় ওই দিন রাত্রে দেড়টার দিকে ইয়াবা পাচারকারীরা অবস্থান নেয়ার গোপন সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশের টিমও অবস্থান নেয়।এসময় কক্সবাজার থেকে চট্রগ্রামগামী কালো রংয়ের একটি প্রাইভেট নোহা গাড়ি (ঢাকা মেট্রো-গ-২৬-৮৭২৬)গাড়ীটি মহাসড়কের রাস্তার ধারে থামানো হয়। পুলিশ ইয়াবা পাচারের গোপন সংবাদ পেয়ে গাড়ি তল্লাশি করলে ওই সময় গাড়ীতে থাকা ৩ ইয়াবা পাচারকারী আটক করে।পুলিশ তাদের দেহ তল্লাসী করে ১হাজার ২০০ ইয়াবা উদ্ধার করেন।এ সময় পুলিশ ইয়াবা পাচার কাজে ব্যবহ্নত প্রাইভেট নোহাগাড়ি জব্দ করে চালক ও তার সহকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ব্যবহ্নত নোহাগাড়ি জব্দ করে। ঘটনায় জড়িত চালকসহ ৩জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।থানার এস আই রুহুল আমিন বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট মাদক আইনে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।