কক্সবাজার : প্রত্যাবাসনের জন্য করা স্মার্ট কার্ড নিতে অনীহা প্রকাশ করছে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা। এ কারণে দু’দিন ধরে কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কিছু এলাকায় তারা প্রতীকী অনশন করছে। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের পক্ষ থেকে মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের জন্য করা পরিবার ভিত্তিক তালিকায় ‘রোহিঙ্গা’ উল্লেখ না করায় রোহিঙ্গারা এ অনশন কর্মসূচি পালন করছে। স্মার্ট কার্ড না নেয়ার পাশাপাশি ইউএনএইচসিআরকে কোনো ধরনের সহযোগিতা থেকে বিরত রয়েছে রোহিঙ্গাদের একটি অংশ। এ নিয়ে ২৫ ও ২৬ নভেম্বর তারা কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কিছু এলাকায় প্রতিকী অনশন করেছে।
রোহিঙ্গা নেতা মহিব উল্লাহ বলেন, আমরা শুরু থেকে দাবি করে আসছি যে আমাদেরকে মিয়ানমার সরকারকে রোহিঙ্গা হিসাবে স্বীকৃতি দিতে হবে। একইভাবে রাখাইনে স্বাধীনভাবে চলাচল, নাগরিকত্বের পাশাপাশি সব সুবিধা দিতে হবে। কিন্তু মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের জন্য করা পরিবার ভিত্তিক তালিকায় রোহিঙ্গা শব্দটি উল্লেখ না থাকায় আমরা বিচলিত হয়ে পড়েছি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইন্টার সেক্টর কো-অর্ডিনেশন গ্রুপের একটি সূত্র জানায়, ২৫ ও ২৬ নভেম্বর উখিয়ার ২১ নম্বার ক্যাম্প, চাকমারকুলসহ বিভিন্ন ক্যাম্পের কিছু রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের তালিকায় রোহিঙ্গা শব্দটি উল্লেখ না থাকায় স্মার্টকার্ড না নেয়ার পাশাপাশি প্রতীকী অনশন করছে। ক্যাম্পের মধ্যে দোকানপাঠ বন্ধ ছিলো এবং ইউএনএইচসিআরকে অসহযোগিতা করছে। তবে এ বিষয়ে ইউএনএইচসিআর এর পক্ষ থেকে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার আবুল কালাম জানান, ‘রোহিঙ্গাদের একটি অংশ ক্যাম্পে প্রতীকী অনশনের কথা শুনেছি। এব্যাপারে বিস্তারিত খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন যতোই দীর্ঘ হচ্ছে, ততোই ব্যবস্থাপনা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে। নিজ দেশে ফেরার অনিশ্চিয়তায় চরম হতাশায় রোহিঙ্গারা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রত্যাশা অনুযায়ী আন্তর্জাতিক মহলের ত্রাণ সহায়তা না পাওয়ায় বিশাল এই জনগোষ্ঠীর থাকা-খাওয়াসহ নানা প্রয়োজন মেটানো কঠিন হয়ে পড়ছে। আর কবে থেকে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু হবে সে প্রশ্নের উত্তর জানা নেই কারো।