বিশেষ প্রতিবেদনঃ
ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরী পুত্র সাইমুম সরওয়ার কমল (এমপি কমল)
আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল এমপির সম্পর্কে কথা বলার আগে জেনে নেয়া উচিত কে উনি? উনার পরিচয় বলার src="https://coxsbazarnewsagency.com/wp-content/uploads/2022/04/IMG_20220326_190359-300x158.jpg" alt="" width="300" height="158" class="alignnone size-medium wp-image-5277" />
আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল এমপির বাবা ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরী
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ট সহচর, সমাজ সেবক, সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য ও রাষ্ট্রদুত, বিশ্বনন্দিত পর্যটন নগরী বাংলাদেশের দক্ষিণ সীমান্ত জনপদের সমুদ্র সন্তান, বিশিষ্ট আওয়ামীগ নেতা ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, অসংখ্য শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা, বর্ণাঢ্য রাজনীতিক অধ্যক্ষ আলহাজ্ব ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরী।
অধ্যক্ষ ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরী ১৯৩৭ সালের ১৮ অক্টোবর রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের মন্ডল পাড়া গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতা মালেকুজ্জামান সিকদার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন বোর্ডের আজীবন প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরী ১৯৫৫ সালে রামু খিজারী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক, ১৯৫৭ সালে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে আইএ, ১৯৫৯ সালে ঢাকা কলেজ থেকে বিএ এবং ১৯৬১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে এমএ পাশ করেন।
কক্সবাজার জেলার সফল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আলহাজ্ব ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরী ১৯৬১-১৯৬২ সালে ইকবাল হল ছাত্র সংসদের এজিএস ও ১৯৬২-১৯৬৩ সালে ডাকসুর সাহিত্য সম্পাদক ছিলেন। ১৯৬২ সালে লাহোরে ছাত্র নেতৃত্ব প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দেন। হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশন রিপোর্টের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬৩ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগদান ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। একাত্তরের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে তিনি সংগঠক হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। ওই সময় এলাকার কতিপয় চিহ্নিত পাক-হানাদার, রাজাকার, আলবদর বাহিনী তার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেন। স্বাধীনতার পর মুক্তিযুদ্ধ ও পুনর্বাসন প্রকল্পে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭০-১৯৭৩ সালে রামু-উখিয়া-টেকনাফ নির্বাচনী এলাকা হতে প্রাদেশিক পরিষদ ও জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এ সময় বাংলাদেশ বন মন্ত্রণালয় ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির উপদেষ্টা ছিলেন। ১৯৯৬ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ১৯৯৭ সাল হতে ২০০১ সাল পর্যন্ত সফলতার সঙ্গে ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরী সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত-এর দায়িত্ব পালন করেন।
সফল রাজনীতিক আলহাজ্ব ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরী বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের অধিকারী ছিলেন। নারী ও ধর্মীয় শিক্ষার প্রসার, সমাজসেবা আর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন তিনি। দুর্যোগ, জলোচ্ছ্বাস আর দরিদ্র মানুষের দুর্দিনে নিজেকে উৎসর্গ করতেন ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরী। অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রতিষ্ঠায় রেখেছেন অনন্য ভূমিকা।
তিনি ১৭টি উচ্চ বিদ্যালয়, ৩৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও অসংখ্য মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির নির্মাণে সহযোগিতা করেন।
বর্ণিল রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী আলহাজ্ব ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরী ২০১০ সালের ২৭ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন।
এতক্ষণ জানলেন আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল এমপির বাবার ইতিহাস চলুন এইবার জেনে নেয়া যাক আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল এমপির সম্পর্কে
সাইমুম সরওয়ার কমল ২ জানুয়ারি ১৯৭০ সালে কক্সবাজারের রামুর ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের মন্ডল পাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরী ও মাতার নাম রওশন চৌধুরী। তার স্ত্রী সৈয়দা সেলিনা আক্তার শেলী। এই দম্পতীর এক পুত্র ও এক কন্যা। তার ভাই সোহেল সরওয়ার কাজল রামু উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।
তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগ থেকে বিএসএস ও এমএসএস ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি ২০০০ সালে বেলজিয়ামের ব্রাসেলস ইউনির্ভাসিটি ইউএলবি থেকে আর্ন্তজাতিক রাজনীতি বিষয়ে এমএসএস ডিগ্রী অর্জন করেন। আমেরিকার মিশিগান স্টেইট ইউনির্ভাসিটি থেকে তিনি এক্সটার্নাল রিলেশনস অব দি ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন বিষয়ে ডিপ্লোমা এবং ফ্রান্সের ওইসিডি থেকে দি অর্গনাইজেশন ফর ইকোনমিক কোঅপারেশন এন্ড ডেভলপমেন্ট বিষয়ে প্রশিক্ষন গ্রহন করেন।
কর্মজীবন
সাইমুম সরওয়ার কমল ২০১৩ সালে সোনালী ব্যাংকের পরিচালক ছিলেন।
রাজনৈতিক জীবন
সাইমুম সরওয়ার কমল স্বেচ্ছাসেবক লীগের গত কমিটিতে আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন । তিনি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি তারিখে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্ব তারিখে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুনরায় কক্সবাজার ৩ আসনের সাংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ।
এমপি কমলের বিপরীতে শব্দ উচ্চারণে সাধু সাবধান
এমপি কমল বন্যার জলে ভেসে আসে নায়।
নিজের জীবনের বিনিময়ে করোনা রোগীকে সেবা করা, বন্যা কবলিত এলাকায় গিয়ে বাড়ি বাড়ি ত্রাণ পৌঁছে দেয়া, অসুস্থ রোগীকে চিকিৎসার জন্য সাহায্য করা, চাকরির দেয়া, পড়ালেখার জন্য শিক্ষার্থীদের সাহায্য করা, পড়ালেখার জন্য যারা বিদেশ যেতে চায় তাদের নিজে অর্থায়ন করা, পর্যটকের জন্য বিনা পয়সায় নিজের বাসায় থাকার ব্যাবস্হা করা, এলাকার বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করা, যেখানে বিগত সময়ে কোন জনপ্রতিনিধী যায় নি সেখানে ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন পৌঁছে দেয়া, জনগণের সেবা করার মাধ্যমে আজকের এই এমপি কমল।
এই কমলে শক্তি উপরে আল্লাহ, নেত্রী, আর জনগণ।
ইনশাআল্লাহ যে কমল জনতার দমায় রাখে সাধ্য কার?
দেখা হবে বিজয়ে
কথা হবে মিছিলে
জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু ।