ঢাকামঙ্গলবার , ৫ এপ্রিল ২০২২
আজকের সর্বশেষ সবখবর

খুরুশকুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ প্রার্থী মাষ্টার রতন দে এর আত্মকথা

প্রতিবেদক
বিশেষ প্রতিবেদন

এপ্রিল ৫, ২০২২ ১১:৪৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বিশেষ প্রতিবেদন:
আমি মাষ্টার রতন কান্তি দে। আমার পিতার নাম প্রান হরি দে। তিনি খুরুশকুল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার এবং সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব ছিলেন।

আমার বাবার ঠাকুর দাদা নিশি চন্দ্র দে প্রকাশ নিশি পঞ্চায়েত। ব্রিটিশ আমলে বর্তমান চেয়ারম্যানকে পঞ্চায়েত বলা হত সেই পঞ্চায়েতের কর্ম এলাকা ছিল খুরুশকুল, পিএমখালী, ঝিলংজা। তার পরব্র্তী ডাঃ কামিনি মোহন দে মেম্বার, স্বাধীনতার পূর্ববর্তী চেয়ারম্যান ধীরেন্দ্র লাল দে, তাঁর পরবর্তী আমার বাবা প্রান হরি দে প্রকাশ পরান মেম্বার। আমার বাবার দাদা কালী কুমার দে প্রকাশ কালিঙ্গর মাষ্টার পঞ্চায়েত পাড়ায় ছনের ছাউনি বেড়া দিয়ে একটি প্রাইমারি স্কুল প্রতিষ্টা করেন। আর সেখানে ছেলেদেরকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ডেকে এনে লেখাপড়া করাতেন।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন খুরুশকুলে শহীদ হওয়াদের ৬ জনই হিন্দু। তাঁরা হলেন- সতীশ চন্দ্র দে মহাজন, বানেশ্বর দে, সুরেন্দ্র লাল দে, ডাঃ সুধীর চন্দ্র দে, তরনী মোহন দে ও রজনী মোহন দে। সেই সময় আমার বাবা-দাদারা পাশ্ববর্তী বার্মায় চলে যাওয়ায় প্রাণে রক্ষা পায়। তবে আমাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয় পাকিস্তানি বাহিনী। স্বাধীনতার পরবর্তী আমার চৌদ্দ পুরুষ নৌকায় ভোট দিয়ে আসছে এবং আমরা পেটে-ভাতে আওয়ামী লীগ।

আমি ১৯৮০ সাল থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতি করে বর্তমানে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত।

আমি খুরুশকুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। বর্তমানে ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছি। পাশাপাশি আমি বর্তমানে সনাতনী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্বকারী একমাত্র সংগঠন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ খুরুশকুল ইউনিয়ন শাখার সভাপতির দায়িত্বও পালন করছি।

আগামী ১০ এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য খুরুশকুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বহুল প্রত্যাশিত সম্মেলন ও কাউন্সিলে আমি সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হয়েছি। আমি সকল কাউন্সিলর ও ডেলিগেটসহ সর্বস্তরের মানুষের আর্শিবাদ/দোয়া এবং সমর্থন কামনা করছি। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।

সম্পর্কিত পোস্ট