ঢাকাবুধবার , ৪ জানুয়ারি ২০২৩
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সোনাদিয়া দ্বীপে রাত্রি যাপন নিষিদ্ধকরনে ক্ষতির মুখে সোনাদিয়াবাসী

প্রতিবেদক
অনলাইন ডেস্ক

জানুয়ারি ৪, ২০২৩ ৮:৩৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

অনলাইন ডেক্সঃ

কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর কুতুবজোম ইউনিয়নের প্রজাপতি ও লাল কাঁকড়ার দ্বীপখ্যাত ভার্জিন সোনাদিয়ায় পর্যটকদের রাত্রিযাপনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। অনুসন্ধানে জানা যায় হঠাৎ মৌসুমের শুরুতে পর্যটক সীমিতকরণের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার কারণে বড় লোকসানের মুখে পড়ছে দ্বীপের বাসিন্দারা।

২০২৩ জানুয়ারীর ১ তারিখ থেকে রাত্রীযাপনে নিষেধাজ্ঞা দেয় প্রশাসন। তাদের দাবি, নিরাপত্তাজনিত কারণে এটি বন্ধ করা হয়েছে। যদিও স্থানীয়রা বলছেন পর্যাপ্ত নিরাপত্তা রয়েছে এ দ্বীপে। অন্যদিকে যথেষ্ট পরিমাণে পর্যটকদের যাতায়তের কারণে কমে গেছে অপরাধ কর্মকান্ড। পাশাপাশি প্রশাসনের সহযোগীতায় পর্যটকদের রাত্রীযাপন ও পূর্বের মতো চলাচল স্বাভাবিক করার দাবী জানান দ্বীপবাসী।

সোনাদিয়া পশ্চিমপাড়া সিসিএ বহুমূখি সমবায় সমিতির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন বলেন, সরকার ও বেজার একটি বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে এইখানে । যা আমরা শুরু থেকে সরকারকে সাধুবাদ জানিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর যে উন্নয়ন কর্মকান্ড তাতে ভ্যানগার্ড হয়ে সব সময় সহযোগী হিসেবে থাকতে চায় দ্বীপবাসী। দ্বীপের অধিবাসীরা বলেন, দ্বীপবাসীরও সন্তান, পরিবার রয়েছে। তাদেরও বাঁচতে হবে। পর্যটক সীমিত করলে অনেক হতদরিদ্র পরিবার নি:স্ব হবে।

সোনাদিয়া ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মো. আলমগীর বলেন- উন্নয়নের প্রভাবে বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ড ছেড়ে দিয়ে সোনাদিয়ার ৫০% মানুষ পর্যটনের উপর নির্ভরশীল হয়ে গেছে। এক সময়ের অপরাধ প্রবণ এলাকা এখন সরকারের সহযোগীতায় অপরাধমুক্ত। এখন সোনাদিয়া নিরাপদ। পর্যটকের রাত্রীযাপন সুবিধা বন্ধ করে দিলে দেড় শতাধিক পরিবার না খেয়ে মরবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা এবং প্রধানমন্ত্রীর হস্তেক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।

বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড কমিউনিটি বেইজডের সদস্য ইমরুল হাসান রাকিব বলেন, ২০১৫ সাল পর্যন্ত সোনাদিয়ায় কোন পর্যটক যেতো না। কিন্তু আমরা নানা উৎসাহ উদ্দীপনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা করে পর্যটকদের কাছে আগ্রহি করে তুলেছি। নিরাপত্তাসহ সব বিষয়ে দ্বীপের বাসিন্দারা ভূমিকা রাখছে। হঠাৎ করে পর্যটক সীমিতকরণ আমাদের স্বাভাবিক জীবনকে হুমকিতে ফেলবে। দেশে পর্যটকদের সেবা করার নির্দেশনা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। সোনাদিয়া দ্বীপের মানুষ তাই করছে।

স্যান্ডি বীচ ট্রাভেলস সার্ভিসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ ফরহাদ বলেন, সাপ্তাহে অন্তত দুই শতাধিক পর্যটক আগমন করে। তাদের সেবায় দ্বীপবাসী ও আমাদের কর্মীরা কাজ করে সেচ্ছাসেবী হয়ে। হঠাৎ করে পর্যটক সীমিতকরণের কারণে তারা বেকার হয়ে পড়বে। এ জন্য তদসংশ্লিষ্ট সকল দপ্তর, জেলা প্রশাসক, ইউএনও প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

সম্পর্কিত পোস্ট