সড়কের মাঠি কুড়ে ঠিকাদার উধাও, সাকু দিয়ে চলাচল করছে স্থানীয়রা!
(আনোয়ার হোছন)
কক্সবাজার সদরের খুরুশকুল ৬নং ওয়ার্ডে পূর্ব হামজার ডেইল সড়কে মাঠি কুড়ে কাজ ফেলে ঠিকাদার উধাও হয়ে যাওয়াই এবং বর্ষার পানিতে কুড়ে ফেলা মাঠি সরে গিয়ে গর্ত হয়ে যাওয়ার কারণে রাস্তায় চলতে পারছে কোন গাড়ী ও কাঠের সাকু দিয়ে চলাচল করছে স্থানীয়রা। গত ৩ মাস ধরে কাজ বন্ধ থাকলেও কর্তৃপক্ষের কোন পদক্ষেপ না থাকায় ভোগান্তি শেষ হচ্ছে না ঐ এলাকার প্রায় ৫-৬ হাজার মানুষের।
জানা যায়, খুরুশকুল টাইম বাজার কালভার্টের মুখ থেকে শুরু করে পূর্ব হামজার ডেইল-দরগাহ ডেইল-ডেইল পাড়া-বেড়িবাধ পর্যন্ত সর্বমোট ৬.৬ কি.মি রাস্তাটি কার্পেটিং এর জন্য এলজিইডি থেকে ৯ কোটি ৩৪ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকায় টেন্ডার পায় ঠিকাদার জনৈক একরাম সিকদার। উক্ত সড়কে ৬”খোয়া,৩” সিটিজি ও প্রস্ত ১২ ফিট চওড়া করার কথা উল্লেখ করা হয়। চলতি বছরের জুন মাসে রাস্তার পুরাতন ইট তুলে সংস্কারের কাজ শুরু করে মূল ঠিকাদারের পক্ষে ভারুয়াখালীর চেয়ারম্যান মো: কামাল উদ্দিন ও খুরুশকুলের চেয়ারম্যান শাহজাহান ছিদ্দীকি। একমাস কাজ করে উধাও হয়ে যায় সাব-ঠিকাদার। রাস্তার কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়াই দূর্ভোগে পড়ে যান স্থানীয়রা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খুরুশকুল দরগার ডেইল হতে ডেইল পাড়া বাজার পর্যন্ত রাস্তায় খোয়া দিয়ে ফেলে রাখা হয়েছে। সিএনজি, মোটরসাইকেল, টমটম ইত্যাদি গাড়ী চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বিকল্প কোনো সড়ক না থাকায় শিক্ষার্থীসহ এলাকার হাজার হাজার মানুষকে চরম দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে এবং খুরুশকুল পূর্ব হামজার ডেইল সড়কের পুরাতন ইট তুলে মাঠি কুড়ে রাখা হয়। তিন মাস কাজ বন্ধ রাখার কারণে বর্ষার পানি এসব মাঠি সরে গিয়ে রাস্তাটির বিভিন্ন জায়গায় গর্ত হয়ে যায়। ফলে চলাচল করতে পারছে না কোন গাড়ি। এলাকার মানুষ জনকে বাধ্য হয়ে খনন করা মাটির ওপর দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। গর্তের কারণে বিভিন্ন স্থানে দেয়া হয়েছে কাঠের সাকু।
স্থানীয়রা বলেন-দীর্ঘদিন পর সড়কটির কাজ শুরু হওয়াই তারা খুশি হয়েছিল কিন্তু একমাস কাজ করে বন্ধ হয়ে যাওয়াই দুশ্চিন্তায় আছেন তারা। রাস্তার বিভিন্ন স্থানে গর্ত হয়ে যাওয়াই কাঠের সাকু দেয়া হয়েছে। এতে কোন গাড়ী চলাচল করতে পারছে না। এলাকায় কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালে নিয়ে যেতে, স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী ও স্থানীয়রা চলচল করতে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাই এই রাস্তার কাজ দ্রুত শুরু করার দাবি জানান স্থানীয়রা।
বিস্তারিত জানার জন্য রাস্তার প্রধান ঠিকাদার একরাম সিকদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় শুনে ১৫ মিনিট পরে কল দেন বলে ফোন কেটে দেওয়াই তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
রাস্তার কাজ ৩ মাস ধরে বন্ধ থাকার বিষয়ে জানার জন্য সাব-ঠিকাদার ভারুয়াখালীর চেয়ারম্যান মো: কামাল উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কাজ বন্ধের সত্যতা স্বীকার করে বলেন-আমরা ইচ্ছা করে কাজ বন্ধ করিনি। মূলত বৃষ্টির কারণে আমরা কাজ বন্ধ রেখেছিলাম। আগামী ১৫-২০ দিনের মধ্যে আবারো কাজ শুরু হবে বলেন ঐ সাব-ঠিকাদার।