ঢাকামঙ্গলবার , ২২ জানুয়ারি ২০১৯
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মহেশখালীতে পানচাষীদের ক্ষতিপূরণের ২২ কোটি টাকা লোপাট!

প্রতিবেদক
সিএনএ

জানুয়ারি ২২, ২০১৯ ৬:৩৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কক্সবাজার: কক্সবাজারের মহেশখালীর কালারমারছড়ায় অধিগ্রহণ করা জমির পানবরজের ক্ষতিপূরণের প্রায় ২২ কোটি লোপাট করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা । কিছু জমির প্রকৃত মালিকের টাকাও লুটপাট করা হয়েছে। ভূমি অধিগ্রহণ শাখার লোকজন ও স্থানীয় কিছু লোকজন সিন্ডিকেট করে এসব টাকা লুটপাট করেছে। এই বিশাল দুর্নীতির খবর প্রকাশ হওয়ার পর ভুক্তভোগীরা চরম ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। এর প্রতিকার চেয়ে তারা জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ মতে, মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়ার সোনারপাড়ায় সরকার বিপুল জমি অধিগ্রহণ করছে। অধিকাংশ জমিতে বর্তমানে পানবরজ রয়েছে। প্রায় দেড়শ পানচাষী পানবরজ চাষ করেছেন। অধিগ্রহণের আওতায় পড়ায় জমিগুলো দখলে নিতে পানবরজ গুটিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তথ্য মতে, এসব জমি ও জমির অবকাঠামোর জন্য একর প্রতি ৬২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ ধার্য্য করা হয়েছে। অবকাঠামো হিসেবে রয়েছে পানের বরজ। টাকা ছাড় দেয়ার জন্য ২২ ধারা নোটিশ জারি করে ভূমি অধিগ্রহণ শাখা। ২২ ধারায় জমির মালিক ও পানবরজের ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য নির্দিষ্টভাবে ক্ষতিপূরণের টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কিন্তু কিছু জমির মালিক ও ভূমি অধিগ্রহণ শাখার কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজস করে ২২ ধারা নোটিশ গোপন করে প্রকৃত মালিকদের অগোচরে প্রায় ২২ কোটি টাকা তুলে নিয়েছে। এসব টাকা ভূমি অধিগ্রহণ শাখার লোকজন ও ওই স্থানীয়রা অসাধু ব্যক্তিরা অর্ধেক অর্ধেক টাকা ভাগ-ভাটোয়ারা করে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসককে দেয়া অভিযোগপত্র মতে, টাকা লোপাটের এই সিন্ডিকেটে রয়েছেন চিকনী পাড়ার মৃত হোছন আলীর পুত্র নূরুল ইসলাম বাহাদুর, নোয়াপাড়ার মৃত ফলাতনের পুত্র আবদুল মান্না কানু, চিকনী পাড়ার ছৈয়দ আহমদের পুত্র আবদুস সালাম ও নূরুল ইসলাম, ভূমি অধিগ্রহণ শাখার কানুনগো শাওনেয়াজ কুতুবী, ও সার্ভেয়ার ফরিদুল আলম।

এর প্রতিাবাদ জানিয়ে ২২ জানুয়ারি কালারমারছড়ায় প্রধান সড়কে এক প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন ভুক্তভোগীরা। প্রায় দু’শতাধিক ভুক্তভোগী সেখানে সমবেত হন। সেখানে তারা নানা ভূমি অধিগ্রহণ শাখার দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও ওই স্থানীয় লোকজনের বিষোদ্গার করে নানা শ্লোগান দেন। এ সময় তারা ২২ কোটি টাকা লোপাটকারীদের কঠোর শাস্তি দাবি করে ক্ষতিপূরণের টাকা দেয়ার আকুতি জানান। এদিকে জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে করা তদন্তটি ভূমি অধিগ্রহণ শাখার কানুনগো শাওনেয়াজ কুতুবী, সার্ভেয়ার ফরিদুল আলমকে দিয়ে করানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগীরা। তারা জানিয়েছেন, টাকা লোপাটের সাথে জড়িতদের দিয়ে করানো তদন্ত সঠিক হবে না। এসময় ভুক্তভোগিরা নিরপেক্ষ কর্মকর্তা দিয়ে স্বচ্ছভাবে তদন্ত করার দাবি জানান।

সম্পর্কিত পোস্ট