সিএনএ ডেক্স:
কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের ধলঘাটপাড়া গণধর্ষণের শিকার হয়েছে ১৭ বছরের এক কিশোরী। গত বুধবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। এনিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার পর থেকে আসামিরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
গত ২৫ জুলাই বুধবার, কিশোরী বাদী হয়ে তিন জনের বিরুদ্ধে মহেশখালী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা দায়ের করেন।
মামলার সূত্র ধরে ২৫ জুলাই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান পিপিএম, এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী পুলিশ সুপার (মহেশখালী সার্কেল) আবু তাহের ফারুকী, মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ প্রণব চৌধুরী।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আমার (কিশোরীর) বাবা দিন মজুর এবং মা গৃহীনি। গত ২০ জুলাই সকাল ৭ টার দিকে আমার পিতা একজন দিনমজুর হিসেবে অন্যজনের নিকট কাজ করিতে যায়। আমার মাতা নানার বাড়ী যায়। ঐদিন বেলা ২ ঘটিকার সময় প্রকৃতির ডাকে ঘরের উত্তর, পূর্ব পাশে পাহাড়ের উপরে জঙ্গলের ভিতরে যাই। শেষে বাড়ী আসার পথে গতি রোধ করে মুখ চাপিয়া ধরিয়া তাহাদের অসৎ উদ্দেশ্য হাছিল করতে পাহাড়ের ভিতরে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক পালাক্রমে পরপর ধর্ষণ করে। শোরচিৎকার করিতে থাকিলে আসামীগন দ্রুত পালাইয়া যায়।
ধর্ষনের পর মুমূর্ষু অবস্থায় কিশোরীকে উদ্ধার করে মহেশখালী হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে আলামত লক্ষ করা গেছে। ঘটনার কথা এলাকার গন্যমান্য লোকজনদেরকে অবহিত করি, নিরুপায় হইয়া আসামীগনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনে নিমিত্তে থানায় অত্র এজাহার দায়ের করিতেছি, স্থানীয়ভাবে সালিশী বৈঠকের মাধ্যমে আপোষ মিমাংশার আশ্বাসের কারনে থানায় এজাহার দায়ের করিতে বিলম্ব হয়। পর নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মহেশখালী থানা মামলা রুজু হয়।
আসামিরা হলো, মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়ের ধলঘাটপাড়ার নুর আহমদের ছেলে এমরান (২১), মোহাম্মদ ইসাহাকের ছেলে হাসান (২০), ছৈয়দুল হকের ছেলে ফায়সাল (১৯)।
এ বিষয়ে মহেশখালী থানার প্রণব চৌধুরী বলেন, কিশোরী বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আসামিরা পলাতক রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন, দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।