নিজস্ব প্রতিবেদক: কক্সবাজারের টেকনাফে জুমার নামাজ থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া জিয়াউল বশির শাহীন (২২) এর গুলিবিদ্ধ লাশ মিলেছে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে।
১০ নভেম্বর সকালে শাহীনের স্বজনেরা খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন। এর আগে পুলিশ ভ্যানে করে গুলিবিদ্ধ মরদেহটি হাসপাতালে আনা হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে। তবে, কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তা স্পষ্ট হওয়া যায়নি।
নিহত শাহীন হ্নীলা সিকদারপাড়ার ছৈয়দ হোসেনের ছেলে। পেশায় সে রং কোম্পানীসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানের ডিলার।
৯ নভেম্বর হ্নীলা দারুস সুন্নাহ মাদরাসা সংলগ্ন জামে মসজিদে জুমার নামাজে দন্ডায়মান অবস্থা থেকে একদল সাদা পোষাক পরিহিত লোক মসজিদে ঢুকে শাহীনকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর থেকে অনেক স্থানে সন্ধান চালায় স্বজনেরা। থানা কর্তৃপক্ষও কোন তথ্য দিতে পারেনি।
শাহীনকে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় জহিরুল ইসলাম, বাহাদুর, হারুন, মাহমুদ, আলী আহমদ, নুর মোহাম্মদসহ অনেক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছিলেন, সাদা পোষাকধারী ৭ থেকে ৮ জন লোক মসজিদের ভেতর থেকে শাহীনকে টেনে বাহির করে। এরপর বাইরে অপেক্ষমান সাদা একটি নোহায় তুলে নিয়ে যায়। এ প্রসঙ্গে জানতে টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে ফোন করে পাওয়া যায়নি।
এরপর জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে লাশের সঙ্গে থাকা থানার অপারেশন অফিসার নুরুল ইসলামকে ফোন করলে তিনি জানান, হ্নীলা উলুচামারী রসুল্লাবাদ থেকে ১০ নভেম্বর দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে শাহীনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।
প্রথমে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাকে নেয়া হয়। সেখান থেকে শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে জেলা সদর হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। ২ পক্ষের গুলাগুলিতে শাহীন মারা যায় বলে পুলিশের এই কর্মকর্তা জানিয়েছেন। তবে, তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য ওসিকে ফোন দিতে বলেন।