সংবাদ সম্মেলনে পরিবারের অভিযোগ।
ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ
বার্তা পরিবেশক
কক্সবাজারের আলোচিত বেসরকারি হাসপাতাল ফুয়াদ আল্-আল খতীব হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় এক প্রসূতি রোগীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আইনি ঝামেলা এড়াতে তিনদিনপর পরিবারের সঙ্গে সমঝোতা চেষ্টা চালাচ্ছে।
মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজার প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন মৃত প্রসূতি রোগী ফারজানা (২৭) স্বামী টেকনাফ পৌরসভার নাইক্ষ্যংপাড়া এলাকার জিয়াউর রহমান।
এরআগে, কক্সবাজারে ভুল চিকিৎসায় এক প্রসূতি রোগীর মৃত্যুর খবর যখন ফেইসবুকসহ বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় তখন সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেনীর মানুষ ওই হাসপাতালে ভিড় হয়৷
নিহতের স্বামী জিয়াউর রহমান জানান, শনিবার ৪ জুন রাত১১টায় আমার স্ত্রীকে ডাক্তার দেখাতে ফুয়াদ আল্ খতীব হাসপাতালে নিয়ে যায়৷। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডাঃ ফাতিমা জান্নাত জানান আপনার স্ত্রীকে সিজার করতে হবে ওনার সময় হয়েছে।
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী, রাত সাড়ে ১১ টায় স্ত্রী ফারজানাকে ফুয়াদ আল্ খতীব হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷
স্বামী জিয়াউর রহমান জানান, আল্ট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্ট অনুযায়ী আমার স্ত্রীর আরো ১-২সপ্তাহ সময় ছিল৷ কিন্তু চিকিৎসক নিশ্চিত করে জানালেন এখনই সিজার করতে হবে৷ অন্যথায় বড় সমস্যা দেখা দিতে পারে৷ তখন বাজে রাত ১১:৪০ মিনিট৷ এত রাত্রে সিজার করতে টাকা পাব কয়! আমি আমার আত্বিয় স্বজনদের বাড়িতে যাওয়ার জন্য আমার স্ত্রীর বড় ভাই সাংবাদিক কাইসারুল হক জুয়েলকে নিয়ে বের হয়৷ আমার এক চাচার কাছে গিয়ে টাকা নিয়ে প্রায় রাত সাড়ে ১২টার সময় হাসপাতালে এসে দেখি আমার স্ত্রী নেই৷ হাসাপাতলের একজন দায়িত্বরত স্টাফ আমাকে বলল আপনার স্ত্রীকে সিজার করতে ডাক্তার ভেতরে নিয়েগেছে৷
নিহতের স্বামী জানান, প্রায় ৩ ঘন্টা পর আমাদেরকে ডাক্তারে এসে বলল! আপনার সন্তান নেন৷ আপনার স্ত্রীর অবস্থা ভালনা! তখন ডাক্তারকে জিজ্ঞেস করলাম কি সমস্যা হয়েছে! ডাক্তার উত্তর না দিয়ে চলেগেছেন আমাদের কে রেফার করলেন জেলা সদর হাসপাতালের আইসিউতে৷
নিহতের বড় ভাই সাংবাদিক কায়সারুল হক জুয়েলের অভিযোগ, তাদের না জানিয়েই এবং তাদের অনুপস্থিতিতে কেন তার বোনকে সিজার করা হয়েছে৷ তিনি অভিযোগ করেন, তার বোন ফারজানা সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল। ভুল চিকিৎসায় তাকে মেরে ফেলা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, নিহতের মামা সিনিয়র সাংবাদিক ছৈয়দুল আমিন চৌধুরী, স্বামীর বড় বোনের স্বামী ইঞ্জিনিয়ার ছিদ্দিক, নিহতের ফুফা আবু তাহের ভুট্টো, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম বিএমএসএফ’র জেলার সভাপতি মামুন আনছারী, জেলার সাধারন সম্পাদক মোঃ শহিদুল্লাহসহ ইলেকট্রনিক এবং প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন৷
কক্সবাজার সদর মডেল থানার (ওসি) তদন্ত মোঃ সেলিম উদ্দিন জানান, ফুয়াদ আল্ খতীব হাসপাতালে রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় এখনও রোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ আসেনি। তবে রোগীর চিকিৎসার সব কাগজপত্র দেখা হয়েছে৷ অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।