কক্সবাজার:
প্রায় এক সপ্তাহ ধরে চলা টানা বর্ষণে প্লাবিত হয়েছে কক্সবাজারের নিম্নাঞ্চল। ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় দেখা দিয়েছে পাহাড় ধস ও দীর্ঘস্থায়ী বন্যার আশঙ্কা। তাই এসব এলাকায় ঝুঁকি নিয়ে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গত এক সপ্তাহ ধরে কক্সবাজারে চলছে ভারী বর্ষণ। এ কারণে সাগরে জলোচ্ছ্বাস ও পাহাড়ি ঢলে জেলার অর্ধশতাধিক নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পাহাড়ি ঢলের পানিতে ডুবে গেছে রাস্তাঘাট। এতে করে পানিবন্দি মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে। কক্সবাজার জেলার মহেশখালীর ধলঘাটায় প্রায় ১ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া কুতুবদিয়া, টেকনাফ ও শাহপরীর দ্বীপে বেড়িবাঁধে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে।
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে চকরিয়া উপজেলার হারবাং, কৈয়ারবিল, বরইতলী, কাকারা, ফাঁসিয়াখালী, লইক্ষ্যারচর, কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও, ইসলামাবাদসহ বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এসব এলাকার গবাদি পশু, পাকা ধান, পানের বরজ, বর্ষাকালীন শাকসবজি ও বিভিন্ন জাতের ফসলের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। ফলে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলার সাধারণ মানুষ চরম উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায় রয়েছে। পাশাপাশি দুর্ভোগে পড়েছে প্লাবিত হওয়া এলাকার মানুষ।
এদিকে কক্সবাজারের সহকারী আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১৮০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এটাকে ভারী বর্ষণ বলা চলে। আগামী কয়েকদিনও এ বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। ফলে ভূমি ধস ও বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।
ভারী বর্ষণের কারণে কক্সবাজার পৌর এলাকার ৬টি ওয়ার্ডের লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। ১০ জুন রাত থেকে এ রকম নির্দেশনা জারি করে পৌর এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে।
কক্সবাজার পৌর মেয়র মাহবুবুর রহমান বলেন, শহরে মাইক নামানো হয়েছে। ওই ৬ ওয়ার্ডের লোকজনের জন্য পৌর প্রিপারেটরি উচ্চ বিদ্যালয়, ডি-ওয়ার্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পাবলিক লাইব্রেরি খুলে দেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন জানান, যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে পাহাড়ে ও পাহাড়ের পাশে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদে সরে যাওয়ার জন্য জেল প্রশাসনের পক্ষে মাইকিং করা হচ্ছে।