জসিম সিদ্দিকী: গত সোমবার রাত থেকে সৈকত নগরী কক্সবাজারে বইছে দমকা হাওয়া। সাথে রয়েছে থেমে থেমে বৃষ্টি। ১ নম্বর সর্তক সংকেতের কারণে ফুটবলারদের অনুশীলনে ব্যাঘাত ঘটেছে। সকালের বীচে হাঁটার যে পরিকল্পনা ছিল টিম বাংলাদেশের তা আবহাওয়ার কারনে বাতিল করতে হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে তপ্ত রোদের পর হঠাৎ করে বৃষ্টির কারনে অশান্ত হয়ে উঠেছে কক্সবাজার। পাশাপাশি বাতাসে আর্দ্রতা কমে গেছে। ১ নম্বর সর্তক সংকেত যতোটা না ভয়ঙ্কর, তারচেয়ে আজ বেশী ভয়ঙ্কর হিসেবে স্বাগতিক বাংলাদেশের সামনে দেখা দিতে পারে প্রতিপক্ষ ফিলিস্তিন। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের দ্বিতীয় সেমি ফাইনালে কক্সবাজার বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়ামে আজ ১০ অক্টোবর দুপুর আড়াইটায় শুরু হবে ফাইনালে যাওয়ার এই দ্বৈরথ। তবে ফিলিস্তিনকে নয়, আজ আবহাওয়াকে বড় প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখছে টিম বাংলাদেশ!
ফিলিস্তিনির বিরুদ্ধে জয় পেলে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে নাম লেখাবে স্বাগতিকরা। কিন্তু সে কাজটি যে কতোটা কঠিন তা ভালোই জানা আছে অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার। তার উপরে টানা বৃষ্টিকেও প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখছেন তিনি। কিন্তু বৃষ্টিটা ওদের জন্য সুবিধা হয়েছে। ঠান্ডা আবহাওয়ায় ওরা আরো ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে। তাছাড়া প্রতিপক্ষ হিসেবে ফিলিস্তিন অনেক কঠিন। তারা আমাদের চেয়ে র্যাংকিংয়ে অনেক এগিয়ে। শারীরিকভাবেও এগিয়ে আছে ওরা। এমন দলের বিরুদ্ধে লড়াই করাটা কঠিন। তবে আমাদের সামর্থ আছে ম্যাচ জয়ের। হোম গ্রাউন্ডের সুবিধা আর দর্শক সমর্থনতো আছেই।
প্রতিপক্ষ হিসেবে ফিলিস্তিনকে সমীহ করে দলের স্বাগতিক কোচ জেমি ডে বলেন, ছেলেরা মাঠে নামার জন্য প্রস্তুত। জয়ের জন্য আমাদের গোল দরকার। আশা করছি আজ আমরা সেটি করতে পারব। প্রতিপক্ষ হিসেবে ফিলিস্তিন বেশ কঠিন। ম্যাচটি আমাদের জন্য কঠিন হবে। তবে গ্রুপ পর্বের দু’টি ম্যাচেই আমরা ভাল খেলেছি। সেমি ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আমাদের আরো ভাল ম্যাচ খেলতে হবে। আশা করি সেটি বজায় রাখতে পারব।
র্যাংকিংয়ের ১০০ নম্বরে থাকা ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে ম্যাচে অভিজ্ঞদের সঙ্গে থাকবে তরুণদের সমন্বয়। কারণ সিলেটে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ফিলিপাইনের বিপক্ষে দূর্দান্ত খেলেছিল স্বাগতিকরা। ঐ ম্যাচে বেশ কয়েকজন তরুন ফুটবলার ছিল একাদশে। তাই সেমি ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে একাদশ গঠন নিয়ে বেশ ভাবনায় মগ্ন কোচ। কাকে রেখে, কাকে রাখবেন সেটা নিয়ে কঠিন ভাবনায় জেমি ডে। ফিলিপাইনের বিপক্ষে কয়েকজন তরুণ ফুটবলার বেশ ভাল খেলেছে। যে কারণে আমার জন্য সেরা একাদশ গঠন কঠিন হয়ে পড়েছে। আমাকে দীর্ঘ সময় ভাবতে হচ্ছে। কারণ সবাই অসাধারণ দক্ষতা দেখিয়েছে। বৃষ্টির কারনে মাঠে অবস্থা বেশ করুণ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মাঠের অবস্থা ২ দলের জন্যই সমান। ফলে পরিস্থিতি যেমনই হোক সেখানে ফিলিস্তিনের তুলনায় আমরাই বেশী খাপ খাওয়াতে পারবো।
এদিকে খেলা দেখতে আসা একাধিক লোকজন জানান, কক্সবাজারের বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়ামের মাঠে অধিকাংশ জায়গায় ঘাস নেই। একটু বৃষ্টি হলেই কাঁদায় মাখামাখি অবস্থা। থেকে যায় ইনজুরির ঝুঁকি। মাঠ ঘেঁষেই গ্যালারি। দর্শকদের বসার জন্য নেই চেয়ার!