জসিম সিদ্দিকী: সারাদেশের মত বর্ণাঢ্য আয়োজনে পর্যটন রাজধানী কক্সবাজারে উন্নয়ন মেলা শুরু হয়েছে। ৪ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে একযোগে উন্নয়ন মেলা উদ্বোধন করেন। এর আগে সকাল ১০টায় কক্সবাজারের বর্ণাঢ্য র্যালি ও শুভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত র্যালি ও শুভাযাত্রায় অংশ নেন কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল, মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সংসদ আশেক উল্লাহ রফিক, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে. কর্ণেল (অব.) ফোরকান আহমদ, জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান কানিজ ফাতেমা মোস্তাক, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) মো. শাহজাহান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আবছার, সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ আলী। এছাড়া জেলার সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ, বিভিন্ন স্তরের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, শিক্ষক ও সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। শুভাযাত্রাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে হয়ে বাহারছড়া গোল চত্বরের উন্নয়ন মেলা স্থলে একত্রে সবাই মিলিত হন।
প্রধামন্ত্রী উন্নয়ন মেলা উদ্বোধনের পর কক্সবাজারের উন্নয়নের উপর ভিত্তি করে এক আলোচনা সভা মেলা প্রাঙ্গণের অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত আলোচনা সভায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন সভাপতিত্ব করেন। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে. কর্ণেল (অব.) ফোরকান আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও জাতীয় মহিলা সংস্থার জেলা চেয়ারম্যান কানিজ ফাতেমা মোস্তাক, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ শাহজাহান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান নূরুল আবছার।
সভায় বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে সারা দেশের মধ্যে কক্সবাজারে উন্নয়ন হয়েছে সবচেয়ে বেশি। বর্তমানে এ জেলায় ৬৯টি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন। প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার ভিত্তিক বৃহৎ প্রকল্প রয়েছে ১২টি। কক্সবাজারে সরকারের প্রায় ৩ লাখ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়নের পথে। মেলায় উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরবে স্ব স্ব বিভাগ। মেলায় সব সরকারি বিভাগ, বাহিনী, সংস্থা, দপ্তর, পরিদপ্তরের স্টল রয়েছে । যেকোন মানুষ মেলা প্রাঙ্গণে গিয়ে জানতে পারবেন সরকারি কোন দপ্তরের কোন ধরনের সেবা প্রদানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
মেলায় প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যে ৬টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর উন্নয়ন দর্শন ও আজকের বাংলাদেশ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০টি বিশেষ উদ্যোগ, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি), শিক্ষিত জাতি সমৃদ্ধ দেশ-শেখ হাসিনার বাংলাদেশ বিষয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। সন্ধ্যার পরে থাকবে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। তিনদিনের মেলায় দেশের বিখ্যাত ব্যান্ড গ্রুপ সোলস, স্বনামধন্য শিল্পী ফকির শাহাবুদ্দিন, বাউল শিল্পী রিংকু, প্রতীক হাসানসহ দেশ সেরা শিল্পীরা গান পরিবেশন করবেন।
এছাড়াও ছাড়াও থাকবে রাখাইন ও স্থানীয় শিল্পীদের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা। স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জন্য থাকবে রিয়েলিটি শো, কুইজ, রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। মেলার শেষ দিনে থাকবে উন্নয়ন কর্মকান্ডে লেজার শো এবং আতশবাজি। ইতিমধ্যে মেলাকে ঘিরে থিম সং রচনা করা হয়েছে। যেখানে তুলে ধরা হয়েছে কক্সবাজার জেলার ইতিহাস, ঐতিহ্য, দর্শনীয় স্থান এবং চলমান উন্নয়ন প্রকল্পসমূহ। এই গানে উন্নয়নের জয়যাত্রার পাশাপাশি বঙ্গোপসাগর, নদী, এবং পাহাড় বেষ্টিত এই জনপদের মানুষের কথা তুলে ধরা হয়েছে। সমাপনী দিনে বেসরকারি দর্শক প্রিয় চ্যানেল আরটিভিতে কক্সবাজারের উন্নয়ন মেলাটি সরাসরি সম্প্রচার করবে বলে জানাগেছে।